ভাইপোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
ঘরে মুরগি ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে বচসা চলছিল দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে। সেই সময় ভাইপোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল কাকার বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে নদিয়ার পলাশিপাড়ার কুলগাছি গ্রামের ঘটনা। গুরুতর জখম অবস্থায় যুবক ভাইপোকে প্রথমে প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। অভিযুক্ত কাকা ইসরাফিল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে তেহট্ট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলগাছি গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে থাকে ইসরাফিল ও তাঁর দাদা জিরাফত বিশ্বাসের পরিবার। জিরাফতের কয়েকটি মুরগি রয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে একটি মুরগি ইসরাফিলের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, রাগে মুরগিটিকে মেরে ফেলেন ইসরাফিল। তার পর সেই মরা মুরগি তাঁর ভাই জিরাফতের বাড়ি দিয়ে আসেন। মুরগি কেন মেরে বাড়িতে দিয়ে এসেছেন কাকা, জিরাফতের ছেলে রুবেল এ কথা জানতে চাইলে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। সেই বচসার পরেই ইসরাফিল রুবেলের উপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে তাঁর মা মনছুরা বিবি ছুটে এলে তাঁকেও মারধর করে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। পড়শিরা জানান, চিৎকার শুনে তাঁরা ছুটে এলে ইসরাফিল পালিয়ে যান।
মনছুরা বুধবার বিকালে থানায় ইসরাফিল এবং তাঁর স্ত্রী ফুলিচা বিবির নামে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করে রাতেই ইসরাফিলকে গ্রেফতার করে। মনছুরা বলেন, ‘‘আমাদের একটা মুরগি ভাসুরের বাড়িতে গেলে সে মুরগিটা মেরে ফেলে। আমার ছেলে এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে মাথায় কোপ মারে ভাসুর। আমি ছেলেকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর ও শ্লীলতাহানি করে। আমাদের বাড়িছাড়া করা, এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। তাই আমি থানায় অভিযোগ করেছি।’’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’