Kailash Vijayvargiya

পুলিশকে হুঁশিয়ারি কৈলাসের

আগামী ৮ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ দিন তারই প্রস্তুতি সভা করতে এসেছিলেন কৈলাস।

Advertisement

সৌমিত্র সিকদার

চাকদহ শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:২২
Share:

চাকদহে জনসভায় কৈলাস বিজয়বর্গীয়-সহ বিজেপির নেতারা। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নদিয়ায় জনসভা করতে এসে পুলি‌শকে হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে চাকদহ চৌরাস্তায় এক জনসভায় রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস দাবি করেন, “বিধায়ককে ফাঁসিতে লটকে দিচ্ছেন। এখানকার পুলিশ ভাল কারিগর, তারা হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছেন।” এর পরেই তাঁর হুঁশিয়ারি, “এ সব যারা করছেন, যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর চটি বয়ে বেড়াচ্ছেন, তাঁদের বলে দিচ্ছি, আগামী ছ’মাস পর রাজ্যে বিজেপি সরকার আসতে চলেছে। বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বসতে চলেছেন। যে সব পুলিশকর্মীরা এ সব করছেন, তাঁরা জেলে ঢুকে যাবেন।”

আগামী ৮ অক্টোবর বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ দিন তারই প্রস্তুতি সভা করতে এসেছিলেন কৈলাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খান। কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে সম্প্রতি সিআইডি রানাঘাট আদালতে যে অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে তাতে মুকুলের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ আনা না হলেও তদন্তের জন্য তিন মাস সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করেছে। তার পরে এই প্রথম তিনি জেলায় এলেন। ওই অতিরিক্ত চার্জশিটে সরাসরি অভিযুক্ত আর এক নেতা, রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার সংসদের অধিবেশন চলায় এখন দিল্লিতে রয়েছেন।

Advertisement

কৈলাস এ দিন কার্যত মেনে নেন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনাড়ম্বর ভাবে চলেন। কিন্তু সরাসরি কারও নাম করে রাজ্যের ‘ছোট পাপ্পু’কে বিঁধেছেন তিনি। কৈলাস বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী চারশো টাকার শাড়ি পরেন, দুশো টাকার চটি পরেন। আর তিনি চার লক্ষ টাকার সোনার চশমা পরেন। ১০-১৫ হাজার টাকার জুতো পরেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।” সেই সঙ্গে মুকুলের ভূয়সী প্রশংসা করে কৈলাসের দাবি, “মুকুলদা মেহনত করে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়েছিলেন। ২০২১ সালে সেই মুকুলদাই তাঁকে ওই চেয়ার থেকে সরিয়ে দেবেন।”

মুকুল বলেন, “বিহারে নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আমাদেরও প্রস্তুত থাকতে হবে। হাতে মাত্র পাঁচ মাস। কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি বিলকে ‘ঐতিহাসিক বিল’ আখ্যা দিয়ে মুকুলের দাবি, “কৃষকরা বুঝতে পারছেন, এই বিল তাদের উপকারের জন্যই।” মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement