জমজমাট সালার বাজারের ভিতরে পূর্ত দফতরের তৈরি একাধিক রাস্তার বেহাল দশা। অভিযোগ, বহুদিন ধরে ওই রাস্তা সারানো হচ্ছে না। খানাখন্দে ভরপুর রাস্তা দিয়েই চলাফেরা করা দস্তুর হয়ে পড়েছে লোকজনের।
পূর্ত দফতর বহুদিন আগে সালারে রেল গেট থেকে চৌরঙ্গি মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার, মহাজন পট্টি থেকে বর্ধমান রোড পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা এবং স্কুল মোড় থেকে বিডিও অফিস পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে। ওই তিনটি রাস্তা ব্যবহার করেই এলাকার লোকজন বাজার-ঘাট, অফিস বা ট্রেন ধরার জন্য স্টেশনে যান। কিন্তু এলাকার মানুষের দাবি, প্রায় দেড় দশক ধরে রাস্তাগুলি মেরামতির ব্যাপারে কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এ ব্যাপারে একাধিকবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনও ফল মেলেনি।
সালার বাজারে প্রায় হাজার দু’য়েক ছোট-বড় দোকান রয়েছে। স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা ছাড়াও স্থানীয় মহাজন পট্টি, দফাদার পাড়া, বড়বাজার, চৌরঙ্গী মোড় প্রভৃতি এলাকাতেও রয়েছে অজস্র দোকানপাট। বাস স্ট্যান্ড বা স্টেশন থেকে এই সমস্ত জায়গা যেতে হয় রেলগেট থেকে চৌরঙ্গি মোড় রাস্তা ধরে। কিন্তু সেই রাস্তার উপর থেকে অনেকদিন আগেই খসে গিয়েছে পিচের চাদর। সাইকেল বা মোটরবাইকে চেপে ওই রাস্তা বরাবর চলাফেরা করা দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, খারাপ রাস্তার জন্য ক্রেতারা সেইভাবে আসতে পারছেন না। ফলে দিন দিন ব্যবসার বাজার খারাপ হচ্ছে। সালার ব্যাবসায়ী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক গোলাম দস্তগীর এলান বলেন, “রাস্তা খারাপের জন্য ক্রেতার সংখ্যা কমছে। ফলে ব্যবসা মার খাচ্ছে।” সালার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের জহিরুদ্দিন শেখ বলেন, “এ ব্যাপারে পূর্ত দফতরকে জানিয়েছি।” মুর্শিদাবাদ জেলার হাইওয়ে-২ এর বিভাগীয় আধিকারিক মুস্তফা কামাল বলেন, “রাস্তাগুলি অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ। তাই সারাইয়ের সময় রাস্তার উপর বালি-পাথর রাখা যায় না। তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি দ্রুত শুরু হবে রাস্তা সংস্কার।”