টিপিএলের নিলাম। রবিবার তেহট্টের একটি লজে। —নিজস্ব চিত্র।
আইপিএলের ধাঁচে নিলামে খেলোয়াড় কেনাবেচা হয়ে গেল তেহট্টে। নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তেহট্ট প্রিমিয়ার লিগ (টিপিএল)। রবিবার তেহট্টের একটি লজে হয়ে গেল তেহট্ট প্রিমিয়ার লিগের নিলাম। যোগ দিয়েছিল তেহট্ট থানার এলাকার ৮টি দল। দলগুলির মালিকপক্ষের কেউ ব্যবসায়ী, কেউ গৃহশিক্ষক, কেউ আবার নানা পেশায় যুক্ত। লিগে যোগ দিতে আবেদন করেছিলেন তেহট্ট ও পলাশিপাড়া থানা এলাকার প্রায় দু’শো জন খেলোয়াড়।
লিগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, আইপিএলের পদ্ধতিতেই খেলা পরিচালনা করা হবে। আইপিএলে দেশ-বিদেশের খেলোয়াড়দের টাকার বিনিময়ে কেনা হয়। টিপিএলে টাকার বদলে পয়েন্টের মাধ্যমে নিলাম করে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে যে কোনও দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। টাকার বদলে প্রত্যেক দলকে দেওয়া হয়েছে দশ হাজার পয়েন্ট। তার মধ্যেই নিলামের মাধ্যমে দলের ম্যানেজমেন্ট যে কোনও খেলোয়াড়কে দলে রাখতে পারবেন। কমপক্ষে ১৫ জন, সর্বোচ্চ ১৭ জন খেলোয়াড়কে যে কোনও দল রাখতে পারবেন। সাধারণ মানের খেলোয়াড় হলে তাঁর পয়েন্ট ২০০। একটু ভাল হলে তাঁদের পয়েন্ট ৩০০। যে সব খেলোয়াড় বিভিন্ন জেলায় ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ান, তাঁদের ‘আইকন প্লেয়ার’ হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ রকম ১০ জন খেলোয়াড়ের পয়েন্ট ১০০০। প্রত্যেক দলকে অন্তত এক জন আইকন প্লেয়ার রাখতে হবে।
আয়োজকেরা জানান, খেলা তেহট্ট, তরণীপুর, কুলগাছি মাঠে খেলা হবে। ফাইনাল হবে তেহট্ট হাইস্কুল মাঠে। খেলোয়াড়দের যাতায়াত, খাওয়াদাওয়ার খরচ দেবে সংশ্লিষ্ট দলের মালিকপক্ষ। খেলোয়াড়দের জার্সিও দেবেন তাঁরা।
৮ নম্বর দলের মালিকদের মধ্যে অর্ণব মোদক, বিজয় সরকার, অর্ণব ঘোষেরা বলেন, “স্মার্টফোনের যুগে খেলার মান কমছে। আর সেই মান চাঙ্গা করতেই আমরা যাঁরা আগে খেলেছি, তাঁরা ক্রিকেটকে নতুন মহিমায় ফেরাতে চেয়েছি।”
টিপিএল ম্যানেজিং কমিটির কর্মকর্তা ইমরান শেখ, প্রণব ঘোষেরা বলেন, “প্রত্যন্ত গ্রামে অনেক প্রতিভা রয়েছে। তাঁদের একটা জায়গা করে দেওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতি আকর্ষণ বাড়াতে টিপিএলের ভাবনা।’’