প্রতীকী ছবি
করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় থমকে যাওয়া সদ্যোজাত এবং শিশুদের টিকাকরণ প্রকল্প ফের শুরু হল বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। বন্ধ ছিল প্রসূতিদের টিকাকরণও। দিন কয়েক আগে তা শুরু হয়েছে।
এ বার শিশুদের টিকাকরণ শুরু হওয়ায়, সদ্যোজাতদের বিভিন্ন টিকা দেওয়া নিয়ে যে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছিল, তা দূর হল। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য জুড়ে শিশু ও মায়েদের টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। লকডাউনের কিছুটা শিথিলতা আসতেই এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রসূতিদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে টিকাকরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত সপ্তাহে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে শিশুদেরও টিকাকরণের নির্দেশ দিয়েছে।
বহরমপুরের সুভাষ কলোনির কাকলি প্রামাণিকের তিন মাসের কন্যা নীলাক্ষির জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকা দেওয়া হয়েছিল। তার পরে লকডাউনের জেরে আর টিকা দেওয়া হয়নি। বুধবার দুপুরে বহরমপুর পুরসভা চত্বরে থাকা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাকলি মেয়েকে টিকা দিতে নিয়ে আসেন।
এ দিন ৬ সপ্তাহ বয়সের টিকা তাঁর কন্যাকে দেওয়া হয়েছে। কাকলি বলেন, ‘‘লকডাউন ও করোনার কারণে টিকাকরণ বন্ধ থাকায় দু’শ্চিন্তায় ছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের ডাকে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে মেয়ের টিকা দিয়েছি। নিশ্চিন্ত লাগছে এখন।’’
বহরমপুরের এসিএমওএইচ রাজীব স্যানাল বলেন, ‘‘গত সপ্তাহে রাজ্য থেকে নির্দেশ আসার পরে ধাপে ধাপে জেলার প্রতিটি ব্লকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। সব ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই টিকা দেওয়া হচ্ছে। ফলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওপিভি (ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন), বিসিজি ও হেপাটাইটিস-বি টিকা দেওয়া হয়। ওই টিকা কখনই বন্ধ করা হয়নি। তবে ৬ সপ্তাহ বয়স থেকে ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের একাধিক টিকা স্থানীয় উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে দেওয়া হত। এগুলি বন্ধ ছিল।’’