প্রতীকী ছবি।
নাকাশিপাড়ার পরে কালীগঞ্জের ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি পরিবর্তন ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা সমস্যা। যার জেরে ব্লক কমিটি ও জেলা কমিটিতে পাওয়া পদ সোমবার লিখিত ভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ও নিয়েছেন নেতাদের একাংশ।
গত শুক্রবার কংগ্রেসের নতুন জেলা কমিটি গঠন হয়। সেই সঙ্গে তিনটি ব্লকে সভাপতি পরিবর্তন করা হয়, তার মধ্যে কালীগঞ্জও রয়েছে। কালীগঞ্জর ব্লকের আগের সভাপতি সাহানাওজ মুন্সিকে সরিয়ে আবুল কাশেমকে আনা হয়েছে। কর্মীদের একাংশ এই বদলের বিরোধিতা করে রবিবার বিকালে পলাশিতে একটি বৈঠক করেন। সেখানে ব্লকের ১৩টি পঞ্চায়েতের সভাপতি এবং বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নতুন সভাপতিকে মানতে অস্বীকার করে জেলা সভাপতির কাছে আবেদনও লেখা হয়। আবার আগামী ৯ ডিসেম্বর ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেওয়া নিয়ে বিকালেই পলাশিতে বর্তমান সভাপতির নেতৃত্বে পথসভা হয়।
বর্তমান সভাপতি আবুল কাশেমের বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, ২০১৪ থেকে টানা ২০২০ সাল পর্যন্ত কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখেননি আবুল কাশেম। মিটিং-মিছিলে ডাকলেও তিনি আসতেন না। দলের সঙ্গে যোগাযোগও রাখতেন না।
প্রাক্তন সভাপতি সাহানাওজ মুন্সি বলেন, “উনি দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। নতুন সভাপতি পরিবর্তন না করা পর্যন্ত আমরা দলের কোনও কর্মসূচিতে যোগ দেব না। আমাদের যাদের যাদের পদে রাখা হয়েছে, সোমবার পদত্যাগপত্র জমা দেব জেলা কমিটির কাছে।” আর এক সদস্য কাবিল শেখ বলেন, “হয় আমাদের আগের সভাপতি ফিরিয়ে দিতে হবে, অথবা যোগ্য লোকের হাতে দায়িত্ব দিতে হবে। এই সভাপতি আমরা মানব না।”
আবুল কাশেম বলেন, “আমি দল করতাম কী করতাম না, তা সকলের জানা। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করে, সকলকে নিয়েই দল চালাতে চাই।”
কালীগঞ্জের কংগ্রেসের নেতা, বর্তমানে নদিয়া জেলা সহ-সভাপতি লক্ষ্মীনারায়ণ দাস বলেন “আবুল কাশেম দীর্ঘদিন দল করে আসছেন। জেলা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমরা আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ওঁর নেতৃত্বেই লড়তে চাই। অন্য যা কথা বলা হচ্ছে, বাজে কথা।”