জেলার উত্তরেও বিজেপিতে দ্বন্দ্ব

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভীমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির আয়েত্রী বিশ্বাস তাঁর স্বামী প্রদীপ বিশ্বাসের সঙ্গে ওই দিন চাঁদপুর এলাকায় জগদীশ বিশ্বাস নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান।

Advertisement

সম্রাট চন্দ

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৪
Share:

দক্ষিণের পর এ বার উত্তর। ফের সামনে এল গেরুয়া শিবিরের কোন্দল। এবার দলেরই পঞ্চায়েত প্রধান এবং তাঁর স্বামীর উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপিরই বিরোধী শিবিরের নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভীমপুর থানার চাঁদপুর এলাকায়। এই ঘটনায় ভীমপুর থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। প্রধানের দাবি, এতে তাঁদের দলেরই বিরোধী শিবিরের মদত আছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভীমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির আয়েত্রী বিশ্বাস তাঁর স্বামী প্রদীপ বিশ্বাসের সঙ্গে ওই দিন চাঁদপুর এলাকায় জগদীশ বিশ্বাস নামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। তাঁর অভিযোগ, সেখানেই এক যুবক গিয়ে তাঁর কাছে দাবি করে, পঞ্চায়েতের ঠিকাদারি দিতে হবে। তিনি রাজি না হলে পরে সে লোক নিয়ে আসে। তারা প্রধান এবং তাঁর স্বামীকে মারধর করতে উদ্যত হয় এবং গালিগালাজ করে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এর পরে প্রধান এবং তাঁর স্বামী আত্মীয়ের বাড়িতেই একটি ঘরে আশ্রয় নেন। ভীমপুর থানাতেও ফোন করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। পরে পঞ্চায়েত প্রধান ভীমপুর থানায় সম্রাট মণ্ডল এবং নব মণ্ডল নামে দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

ভীমপুর পঞ্চায়েতে গত নির্বাচনে বিজেপি জয়লাভ করলেও এখানে তাদের দুই শিবিরের কোন্দল রয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে দলের ২১ নম্বর জেলা পরিষদের সভাপতি স্বদেশ মজুমদারকে সরিয়ে মানিক সরকারকে সভাপতি করা হয়। মানিক বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মহাদেব সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি আয়েত্রীর। রবিবারের হামলায় তিনি মানিকের দিকেই আঙুল তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মানিক সরকারের লোকজনই এ দিন হামলাটা করে। আগে থেকেই ওরা আমাদের নানা কাজে বাধা দিচ্ছে। প্রধান হওয়ার সময়েও বাধা দিয়েছিল।” জেলা সভাপতির মদতেই এদের বাড়বাড়ন্ত বলে এ দিন দাবি করেন তিনি।

Advertisement

বিজেপি নেতা মানিকের দাবি, “এর সঙ্গে আমার যোগ নেই। রাস্তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে হয়তো কোনও সমস্যা হয়েছে। আমরা বিজেপি করি। দলই আমাদের কাছে সবার আগে।” মহাদেব সরকার বলেন, “ভীমপুরে কী হয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে দলের প্রত্যেক কর্মীই আমার কাছে সম্পদ। আলাদা করে কাউকে মদত দিই না। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলি আমরা।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement