নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে জেলা পুলিশ।
মহালয়ার ভোরে শব্দবাজির যথেষ্ট দাপট ছিল বহরমপুরে। সামনেই কালীপুজো দীপাবলির মতো বাজির মরসুম। তার আগেই সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, পরিবেশ বান্ধব সবুজ বাজি ছাড়া অন্য কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না। শুধু তাই নয়, বাজি পোড়ানোর সময়ও বেঁধে দিয়েছে আদালত। সে বিষয়ে এখন থেকেই পুলিশকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো কতটা রুখতে পারবে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কেননা কোনটি সবুজ বাজি, আর কোনটি সবুজ বাজি নয়, তা চেনা বড়ই শক্ত। ফলে সবুজ বাজির আড়ালে নিষিদ্ধ বাজি বা অন্য কোনও বাজি চলে যাবে না তো সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে কলকাতার ধাঁচে বহরমপুরে সবুজ বাজির অস্থায়ী বাজার করার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার জানিয়েছেন, সবুজ বাজি চেনার উপায় সম্পর্কে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন এবং ন্যাশনাল এনভায়রোমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের ওয়েব পোর্টালে যে তথ্য রয়েছে তা সব থানায় পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া জনগণকে সচেতন করতে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘সবুজ বাজি ছাড়া অন্য বাজি পোড়ানো, বিক্রি করা রুখতে ইতিমধ্যে জেলা জুড়ে অভিযান শুরু হয়েছে। গত এক মাসে জেলায় প্রায় ৯২ হাজার ৭৭ টি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে। লাগাতার অভিযান ও নজরদারি চলছে।’’
গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স ব্যবহার সম্পর্কে সুপ্রিমকোর্টের কী নির্দেশ রয়েছে? পরিবেশ বান্ধব ‘গ্রিন ফায়ার্স ক্র্যাকার্স’ ছাড়া অন্য কোনও ধরনের নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও আতসবাজি তৈরী, বিক্রয়, মজুত ও ব্যবহার না করার জন্য সুপ্রিমকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্স চেনার উপায় কি? পুলিশ বলছে, গ্রিন ফায়ার ক্র্যাকার্সের উপরে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন এবং ন্যাশনাল এনভায়রোমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের সবুজ লোগো থাকবে, বাক্সগুলিতে কিউআর কোড করা থাকে যা ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের মোবাইল অ্যাপে সহজেই স্ক্যান করে জানা যায় যে সব জিনিস দিয়ে বাজিটি তৈরি হয়েছে। প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির ভেরিফাইড সার্টিফিকেটও পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ সেফটি অর্গানাইজেশন এবং ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনিস্টিটিউটের ওয়েব পোর্টালে পাওয়া যাবে।