প্রতীকী ছবি।
মরণোত্তর চক্ষুদানে শহরবাসীকে উৎসাহিত করতে এবং যাঁরা চক্ষুদান করলেন তাঁদের সম্মান জানাতে মরদেহ সৎকারের খরচ মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তিপুর পুরসভা। চক্ষুদান আন্দোলনে যুক্ত সমাজকর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মৃতের চোখের কর্নিয়া তুলে দৃষ্টিহীনের চোখে প্রতিস্থাপন করা গেলে বহু ক্ষেত্রে দৃষ্টি ফেরানো যায়। এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুরসভার শ্মশানে চক্ষুদাতার সৎকারের খরচ নেওয়া হবে না বলে গত ২৬ জুলাই পুরসভার বোর্ড অব কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাল, ১ অগস্ট থেকে এই নিয়ম কার্যকরী হবে। পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “চক্ষুদাতা যেখানকারই বাসিন্দা হোন বা যেখানেই চক্ষুদান করুন, শান্তিপুর শ্মশানে শবদাহের খরচ মকুব হবে।”
এই শ্মশানের উপরে রানাঘাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ নির্ভর করেন। কোতোয়ালি থানার দিগনগর ও আশপাশের মানুষও আসেন। প্রতি দিন গড়ে ১৫-২০টি দেহ সৎকার হয়। সৎকারের জন্য ১০০০ টাকা করে নেওয়া হয়।
গত ২০১৪ সাল থেকে শান্তিপুর এলাকায় মরণোত্তর চক্ষুদানের ক্ষেত্রে ব্যারাকপুরের একটি চক্ষু ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় সচেতনতা তৈরি করা এবং অঙ্গীকারপত্র স্বাক্ষর করানোর কাজ করে যাচ্ছে একটি স্থানীয় সংস্থা। প্রথম বছরে মোটে একটি হলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের তরফে ১৯৬টি কর্নিয়া সংগৃহীত হয়েছে। মানুষের মধ্যে ইদানীং আগ্রহও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শান্তিপুরে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে কাজ করে চলা সংস্থাটির সম্পাদক তপন মজুমদার বলেন, “শান্তিপুর পুরসভার এই সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এর মাধ্যমে যাঁরা মরণোত্তর চক্ষুদান করছেন, তাঁদের স্বীকৃতি দিচ্ছে পুরসভা। তাঁদের সম্মান জানানো হচ্ছে।”