উপ-প্রধানের স্বামীকে কোপ

এই ঘটনায় এলাকায় দলের কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে এক জনকে আটক করে। সনিয়া বলেন, “আমার স্বামী বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তাকে ফোন করে যেখানে পিকনিকের হচ্ছিল, তার কাছে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিকল্পিত ভাবে খুন করার জন্য।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বগুলা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২২
Share:

 নিজস্ব চিত্র

বাড়ির কাছেই আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের স্বামী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাঁসখালির বগুলা এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

Advertisement

শাসক দলের নেতারা এটিকে অরাজনৈতিক ঘটনা বলে দাবি করলেও পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই ঘিরে পুরনো বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে মনে করছেন অনেকেই। আক্রান্তের নাম বিভু দে। তিনি বগুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান সনিয়া দের স্বামী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে উপ-প্রধানের বাড়ির কাছেই রাস্তার পাশে পিকনিক করছিলেন স্থানীয় কিছু যুবক। হঠাৎই তাদের কয়েক জনের সঙ্গে বিভুর কথা কাটাকাটি হয়। তখনই তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ের কাছে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ।

এর পরেই ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছুটে যান তাঁর পরিবারের লোকজন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে সেখান থেকে তাঁকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরাও এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এক সময়ে তারা বিভুরই ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিল। তবে ঠিক কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে পরিষ্কার নয়।

Advertisement

এ নিয়ে সনিয়া বলেন, ‘‘হয়তো পুরনো কোনও রাগ থেকে এমনটা করেছে।” কেন সেই রাগ? তাঁর কথায়, “এক সময় আমাদের সঙ্গে ওদের সম্পর্ক ভাল ছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের সময় টিকিট নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল।” তিনি জানান, অভিযুক্তরাও চেয়েছিল, তাদের পরিবার থেকে কেউ দলের টিকিট পাক। কিন্তু তারা পায়নি। এ নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়। অভিযুক্তেরা মাংসের ব্যবসা করে বলে তাদের সঙ্গে সব সময় ধারাল অস্ত্র থাকে। তা নিয়ে মাঝমধ্যেই লোককে ভয় দেখায় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় এলাকায় দলের কর্মীদের মধ্যে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে এক জনকে আটক করে। সনিয়া বলেন, “আমার স্বামী বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তাকে ফোন করে যেখানে পিকনিকের হচ্ছিল, তার কাছে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিকল্পিত ভাবে খুন করার জন্য।” যদিও রানাঘাট উত্তর-পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের সমীর পোদ্দার বলেন, “এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যক্তিগত কারণে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement