Husband Kills Wife in Nadia

নদিয়ায় মারধরের পর স্ত্রীর দেহ ঝুলিয়ে দিলেন যুবক! ফেরার স্বামীর খোঁজে পুলিশ

মৃত বধূর নাম করুণা মজুমদার। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বোয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ নিজের ঘর থেকে করুণার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ২১:০৭
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মারধরের পর স্ত্রীকে গামছায় বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে! শনিবার সকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে ঘটনাটি ঘটেছে। বধূমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। নিহত বধুর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম করুণা মজুমদার। তিনি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বোয়ালিয়া পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ নিজের ঘর থেকে করুণার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, করুণার স্বামী তারক মজুমদার মদ্যপ ছিলেন। মত্ত অবস্থায় প্রায়ই তিনি করুণাকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ বধূর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে ছুটে এসে পরিজনেরা দেখেন, ঘরের মধ্যে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় ঝুলছে করুণার দেহ। তাঁরাই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে বধূকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ঘটনার পরেই কৃষ্ণগঞ্জ থানায় জামাই ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বধূর মা প্রমিলা রায়। তাঁর কথায়, “নেশা করে মেয়েকে প্রায়ই মারধর করত জামাই। মারধরের পর গামছা বেঁধে মেয়েকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।” মৃতার বোন ইতিকা রায় বলছেন, “দিদির উপর প্রতিনিয়ত অত্যাচার চালাত তারক। ওঁর ফাঁসি চাই।” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে কী ভাবে ওই বধূর মৃত্যু হল, কা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃতার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য দিকে, ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত স্বামী। তাঁর খোঁজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement