Body Recovered in Kasba

কসবায় জলাশয় থেকে দেহ উদ্ধার ভিন্‌রাজ্যের যুবকের, তদন্তে পুলিশ

মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন। পুকুরপাড় থেকে তাঁর পরনের পোশাক এবং মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৮
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

কসবায় জলাশয় থেকে উদ্ধার হল ভিন্‌রাজ্যের যুবকের দেহ। শনিবার সকালে কসবার নস্করহাট এলাকায় মিঠাতালাব নামে এক পুকুর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। পুকুরের ধারে মিলেছে তাঁর জামাকাপড় এবং মোবাইল ফোন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রুবি পার্কের এক ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের পিছনের পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুকুরের চারপাশে ভিড় জমান স্থানীয়েরা। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় কসবা থানার পুলিশ। দেহটি জল থেকে তোলা হয়। সোনু রায় নামে স্থানীয় এক যুবক দেহটি শনাক্ত করেন। জানা যায়, মৃতের নাম রাজু পটেল (২৯)। বাড়ি বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার সংগ্রামপুর থানার জালহা গ্রামের ভাঙ্গিয়াটোলা এলাকায়। রাজু সম্পর্কে সোনুর তুতো ভাই। হোলি উপলক্ষে শুক্রবারই সোনুদের শান্তিপল্লির বাড়িতে এসেছিলেন তিনি। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ পুকুরে স্নান করতে যাবার নাম করে বেরিয়েছিলেন তিনি। তার পর দীর্ঘ ক্ষণ কেটে গেলেও বাড়ি ফেরেননি রাজু। উদ্বিগ্ন হয়ে আত্মীয়েরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু গোটা এলাকায় খুঁজেও পাওয়া যায়নি ওই যুবককে। শেষমেশ শনিবার সকালে ওই পুকুরেই ভাসতে দেখা যায় তাঁর দেহ।

মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় ট্রাক চালক ছিলেন। পুকুরপাড় থেকে তাঁর পরনের পোশাক এবং মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। পুকুরে ডুবে মৃত্যু হয়েছে, নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে সময় যুবক মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হবে। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই কসবায় উদ্ধার হয়েছিল এক শিশু-সহ একই পরিবারের তিন জনের মৃতদেহ। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আর এক মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement