—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল চিকিৎসক স্বামীর বিরুদ্ধে। স্বামীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা লেগেই থাকত। তার মাঝেই এই খুনের অভিযোগ। মৃতের পরিবারের দাবি, দাম্পত্য কলহের জেরেই পরিকল্পনা করে স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই চিকিৎসক।
ঘটনাটি মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানা এলাকার সাহেবনগর গ্রামের। মৃত মহিলার নাম আনারকলি খাতুন। ছ’বছর আগে মোয়াজ্জেম শেখের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি পেশায় গ্রামীণ চিকিৎসক। পরিবার সূত্রে খবর, মোয়াজ্জেম এবং আনারকলির মধ্যে দাম্পত্যকলহ ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন আনারকলি। রাতের দিকে তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দেন তাঁর স্বামী।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ আনারকলি তাঁদের ফোন করে জানিয়েছিলেন, স্বামী ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর তাঁর অসুস্থতা আরও বেড়ে গিয়েছে। এর পর প্রথমে তাঁকে ডোমকল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তরুণীর।
অভিযোগ, তরুণীকে যেখানে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, সেই স্থানটিতে কালশিটে পড়ে গিয়েছে। তা দেখেই পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। মৃতের মা রুমেলা বিবি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মেয়ে সন্ধ্যায় আমাকে ফোন করেছিল। বলল, গ্যাস হয়েছে। ওর স্বামী ওকে একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছিল। তার পর থেকেই শরীর আরও বেশি খারাপ হয়। শরীরের মধ্যে ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। পরে জামাই আমাকে ফোন করে জানাল, মেয়ে মারা গিয়েছে। ওর অন্য জায়গায় সম্পর্ক রয়েছে। আমার মেয়েকে পথ থেকে সরাতে তাই খুন করেছে।’’
মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, ‘‘দেহটি আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। তার প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে। তদন্ত চলছে।’’