জেএনএম

রক্ত থাকলে ফেরানো যাবে না

রক্তের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হল জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক। ব্লাড ব্যাঙ্কের অভিযুক্ত দুই কর্মীকে ডেকে পাঠিয়ে তিরস্কার করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কল্যাণী শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৪২
Share:

রক্তের অভাবে রোগী মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত হল জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক। ব্লাড ব্যাঙ্কের অভিযুক্ত দুই কর্মীকে ডেকে পাঠিয়ে তিরস্কার করা হয়। বৈঠকে পরিষ্কার, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে আয়া রাজ খতম করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

যে তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে নানা বিতর্ক বাঁধছে, তার দাপট খর্ব করতে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় পদক্ষেপ করা হবে। রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পর এ দিন দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এমন নিদান দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয়-সহ সভাপতি মুকুল রায়।

গাঁধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠক করেন সমিতির চেয়ারম্যান মুকুল। বৈঠকের প্রথমেই মুকুল বলেন, অন্য আলোচনায় যাওয়ার আগে প্রথমে জানা দরকার হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত থাকা সত্ত্বেও একজন রোগী রক্তের অভাবে মারা গেল এটা কোনওভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কাদের দোষে এমন ঘটনা ঘটল সেটা জানা দরকার।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন বলেন, দু’জন কর্মীকে শো-কজের জবাব দিয়েছেন। রিপোর্ট তৈরি হবে। মুকুলবাবু তখন বলেন, ‘‘আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম। ভাল করে জানি কী করে রিপোর্ট তৈরি হয়। তাতে কী থাকে। এ সব আমাকে দেখাবেন না। যাঁরা রক্ত না দিয়ে রোগীদের বাড়ির লোকেদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁদের বৈঠকে ডাকা হোক।

সেই দুই কর্মীকে জেএনএম হাসপাতাল থেকে গাঁধী হাসপাতালের বৈঠকে ডাকা হয়। তাঁরা জানান, রবিবার তাহেরপুরের কাকলি রায়ের পরিবারের লোকেদের তাঁরা রক্ত দিতেই চেয়েছিলেন। কিন্তু, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসার জন্য কিছুটা সময় কেটে যায়। তারমধ্যেই রোগীর মৃত্যু হয়।

কল্যাণী শহর তৃণমূলের সভাপতি অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আপনারা মিথ্য কথা বলছেন। আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি, আপনারা রোগীর বাড়ির লোককে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।’’ মুকুলবাবু জানান, রোগীর বাড়ি লোকেরা রক্ত দিতে পারুন না পারুন রোগীর বাড়ির লোকেরা রক্ত দিন না দিন প্রয়োজন থাকলে রক্ত দিতে হবে। ফেরানো যাবে না। এটা একটা ব্যবস্থা। এি ব্যবস্থা যাঁরা মানতে পারবেন না, তাঁদের চলে যেতে হবে।

গাঁধী হাসপাতাল নিয়ে অভিয়োগ করেন দুই চিকিৎসক। তাঁদের একজন জানান, নিখুঁত অস্ত্রোপচার হওয়ার পরেও শুধুমাত্র পরবর্তী দেখভালের অভাবে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। মুকুল জানান এই হাসপাতালের পুরনো গরিমা ফেরাতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement