health department

জেএনএমে মাস্ক, কম শক্তিনগরে

কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোজই গোটা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুও।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৭
Share:

ভরসা এমন মাস্কে। শক্তিনগর জেলা হাসাপাতালে। নিজস্ব চিত্র

নোভেল করোনাভাইরাস যদি সত্যিই জেলায় ছোবল দেয়, তা সামলাতে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যুক্ত কর্মীদের প্রস্তুত করছে স্বাস্থ্য দফতর। কিছু হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে মাস্ক।

Advertisement

কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, রোজই গোটা বিশ্বে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। বাড়ছে মৃত্যুও। যদিও নদিয়া জেলা তো বটেই, গোটা পশ্চিমবঙ্গেই এখনও কারও আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত খবর নেই। তবে হাসপাতালে রোজই কয়েক হাজার মানুষ আসেন। ফলে চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের অনেকেই নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত ছিলেন।

শুক্রবার জেএনএম হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় জানান, মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় সেখানে রোগী ও রোগীর বাড়ির লোকজন মিলিয়ে বহু মানুষ আসেন। এমনিতেই করোনার জন্য ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’ তৈরি করা হয়েছে। তাই চিকিৎসক ও হাসপাতালের সব কর্মীদের সার্জিক্যাল মাস্ক দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা যাচ্ছে, নোভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য আসলে এন৯৫ মাস্ক প্রয়োজন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ওই ধরনের মাস্ক হাসপাতালে আসেনি। ফলে আপাতত সার্জিক্যাল মাস্ক দিয়েই কাজ চালাতে হচ্ছে। হাসপাতাল সুপার অবশ্য দাবি করছেন, ‘‘যে মাস্ক দেওয়া হয়েছে তাতেই সংক্রমণ ঠেকানো যাবে। রোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছে।’’ তবে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত সন্দেহে কেউ সেখানে ভর্তি হননি বলে তিনি জানান।

কল্যাণী শহরের ইএসআই হাসপাতালে অনেক কর্মীই বেশ কিছু দিন ধরে মাস্ক ব্যবহার করছেন। তবে তা হাসপাতাল থেকে দেওয়া নয়, নিজেদের জোগাড় করা। হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখনও স্বাস্থ্য দফতর থেকে মাস্ক এসে পৌঁছয়নি। তবে মাস্ক সরবরাহের অর্ডার ইতিমধ্যেই এসে গিয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যেই সকলে মাস্ক পেয়ে যাবেন।

জেলাসদর কৃষ্ণনগরে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে অবশ্য চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীদের এখনও মাস্ক দেওয়া হয়নি। জেলা হাসপাতাল হওয়ায় সেখানেও প্রতিদিন বহু রোগী ও তাঁদের বাড়ির লোকের যাতায়াত রয়েছে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, হাসপাতালের লোকজন যদি মাস্ক পরে ঘোরেন, তা হলে সাধারণ মানুষের আতঙ্ক আরও বাড়বে। তবে নিরাপত্তারক্ষী ও কিছু কর্মীকে এ দিন মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। হাসপাতাল সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ‘‘আমরা কাউকে মাস্ক দিইনি। কেউ-কেউ নিজেরাই সাধারণ মাস্ক কিনে পরছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement