unnatural death

জন্মদিনে নাতনিকে পায়েস খাইয়ে গলায় ফাঁস ঠাকুমার, ঠাকুরঘর থেকে বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার শান্তিপুরে

 শান্তিপুর থানার পুলিশ বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রানাঘাট হাসপাতালে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি গত কয়েক বছর ধরে কিডনি এবং লিভারের রোগে ভুগছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৪৩
Share:

বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।

এক মাত্র নাতনির জন্মদিনের পায়েস রান্না করেছিলেন নিজের হাতে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য রান্না করে সকলকে খাইয়ে রাতে নিজের ঘরে শুয়ে পড়েছিলেন বৃদ্ধা। রবিবার সকালে সেই বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ঠাকুরঘর থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের শ্যামচাঁদ রোড এলাকায়। বৃদ্ধার নাম রমা চক্রবর্তী (৬৯)। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই বৃদ্ধা। সেই কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে পরিবারের দাবি।

Advertisement

শান্তিপুর থানার পুলিশ বৃদ্ধার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় রানাঘাট হাসপাতালে। রমার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি গত কয়েক বছর ধরে কিডনি এবং লিভারের রোগে ভুগছিলেন। অসুস্থতার কারণে গত মাস ছ’য়েক ধরে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলেও পরিবারের দাবি। শনিবার ছিল তাঁর এক মাত্র নাতনির জন্মদিন। রমার পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, সকাল থেকেই তিনি ব্যস্ত ছিলেন রান্নার কাজে। পাশাপাশি, ঘরও নিজের হাতে সাজান। রাত ২টো নাগাদ রমার ছেলে বাড়িতে ফেরেন। তাঁর খাওয়াদাওয়ার পর সকলে ঘুমোতে চলে যান। সকালে উঠে তাঁরা রমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। রমার ভাইপো অমল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জ্যাঠাইমা দীর্ঘ দিন ধরেই নানা অসুখে ভুগছিলেন। তাই নিয়ে বাড়ছিল মানসিক অবসাদ। ওঁর এক মাত্র নাতনির জন্মদিনে নিজে উদ্যোগী হয়ে সব আয়োজন করেছিলেন। হয়তো এটাই ওঁর শেষ ইচ্ছা ছিল। তার পর আজ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল।’’

রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার কে কান্নান বলেন, ‘‘দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement