ঝড়ে পড়ে গিয়েছে কলাগাছ।
গভীর রাতের শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে তেহট্টের বিস্তীর্ণ এলাকায় কলাবাগান এবং অন্য ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে আমেরও। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেতাই রাখালতলা মাঠ, বেলেচুয়াপাড়া মাঠ, ভটুপাড়া ও নফরচন্দ্রপুর এলাকায়। গ্রামবাসীরা জানান, সোমবার গভীর রাতে এই সব এলাকায় শিলাবৃষ্টি ও ঝড় শুরু হয়। দশ মিনিটের ওই ঝড়বৃষ্টিতেই বড়সড় ক্ষতি হয় বলে দাবি স্থানীয় চাষিদের।
বেতাই নতুনপাড়া গ্রামের চাষি শুধাংশু মণ্ডল জানান, তাঁর তিন বিঘা জমির চাঁপাকলা গাছের প্রায় সবই ভেঙে গিয়েছে। ঋণ করে তিনি গাছ লাগিয়েছিলেন। কলা কেবল পুষ্ট হতে শুরু করেছে, মোটে দশ হাজার টাকার কলা বিক্রি হয়েছে এখনও। এরই মধ্যে এই দুর্যোগ। আর এক চাষি রমেশ মণ্ডল পাঁচ বিঘা কলা চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁর মতে, এলাকায় প্রায় দু’শো বিঘা জমির কলা চাষের ক্ষতি হয়েছে। মিহির মজুমদার, বিধান হালদার, সুজিত খান, লিংকন খান, সুভাষ সরকার, দিলীপ সরকারদের আক্ষেপ, তাঁদের দু’তিন বিঘা করে জমির অধিকাংশ কলাগাছ মাঝামাঝি ভেঙে গিয়েছে। চাঁপাকলা বাগানের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টির কারণে ধনে, গম, পটল এবং আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।
বেতাই পঞ্চায়েতের প্রধান বুড়িবালা সর্দার মঙ্গলবার ওই সব এলাকা ঘুরে দেখেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বেশ কিছু চাষি ক্ষতির মুখে পড়েছেন। সমস্ত খোঁজখবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’’ তেহট্ট ১ ব্লকের কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক আনন্দ মৈত্র বলেন, ‘‘শিলাবৃষ্টি ও ঝড়ে বেতাই ১ পঞ্চায়েত এলাকায় কলা-সহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে আমাদের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। চাষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’