সরকারি কর্মীকে পেটানোয় অধরা তৃণমূল নেতা

তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হেলদোল নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অরঙ্গাবাদ শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৫ ০০:১৪
Share:

তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে পেটানোর অভিযোগে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। কিন্তু তাঁর কোনও হেলদোল নেই। তিনি, সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের আনিকুল ইসলাম। ওই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার তিনি দিব্যি অফিস করলেন। বুধবারের ওই ঘটনায় নাম জড়ায় আনিকুলের ভাই, উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের রবিকুল ইসলাম ও পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মাসাদুল হক-সহ কয়েকজন তৃণমূল নেতা ও কর্মীর। সকলের বিরুদ্ধেই জামিন অযোগ্য একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই সুতি-২ ব্লকের পরিবেশ ছিল থমথমে। ব্লক কার্যালয়ের আনাচে-কানাচে শাসকদলের নেতার গা-জোয়ারির প্রতিবাদে পোস্টার চোখে পড়েছে। কর্মীদের একাংশ বুকে কালো ‘ব্যাজ’ পরে অফিসে ঢুকেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরও নির্বিকার থেকেছেন আনিকুল। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে বলেন, ‘‘ওই আধিকারিককে আমি মারধর করিনি। পরিষেবা না পেয়ে জনগন ওঁকে হেনস্থা করেছেন।’’

এ দিকে অভিযুক্তরা শাসকদলের নেতা বলেই, পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে। সুতি-২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘‘সারা রাজ্যে যে সন্ত্রাস চলছে সুতিতে বুধবার সেটাই ঘটেছে। পুলিশের নাকের অভিযুক্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে।’’ সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অমল চৌধুরী বলেন , ‘‘রাজ্য জুড়ে যে নৈরাজ্য চলছে, এটা তারই নজির। জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযুক্তরা কীভাবে অফিস সামলান তা বোঝা যাচ্ছে না।’’ জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, ‘‘সুতি থানার পুলিশ কেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

কারাদণ্ড। মাছ ধরা নিয়ে বিবাদের জেরে ভাইপোকে খুনের চেষ্টার দায়ে দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হল তাঁর দূর সম্পর্কের এক কাকার। এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে আরও দুই কাকার। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবার আদালতের জেলা ও দায়রা বিচারক মগরাহাটের উড়েল চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা অর্জুন গায়েনকে দশ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান। এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তার দুই ভাই প্রদীপ ও মাধবের। ২০১৩ সালের অক্টোবরে মগরাহাটের কড়ামনুরাজপুর গ্রামে অন্যের পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে মারপিটের জেরে অর্জুন তার দূর সম্পর্কের ভাইপো কার্তিক গায়েনের পেটে ভোজালি চালিয়ে দেয়। অর্জুনের দুই ভাই-ও তাতে মদত দেয়। সরকারি আইনীজীবী গৌতম বিশ্বাস জানান, উভয় পক্ষের সাক্ষীদের বয়ান শুনে বুধবার তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এ দিন সাজা ঘোষণা হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement