এত বোমা এল কোথা থেকে? প্রশ্ন

শনিবার বোর্ড গঠনের দিন পুলিশের সামনে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কার্যত বোমাবৃষ্টি চলে। আতঙ্ক তৈরি হয় বাগবেড়িয়ায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮ ০২:৩১
Share:

ব্যাপক গোলমালের আশঙ্কা ছিলই। বাগবেড়িয়ায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন সন্ত্রাস চালাতে বাইরে থেকে লোক ও অস্ত্র ঢুকতে পারে এমন খবরও ছিল পুলিশের কাছে। দিন কয়েক আগে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এলাকা থেকে ১৩টি তাজা সকেট বোমা উদ্ধার করেছিল। গত শুক্রবার বোমা ফেটে এলাকায় জখমও হয়েছিলেন ৪ জন। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এত কিছুর পরেও কেন পুলিশ বাগবেড়িয়ায় বাইরে থেকে বোমা ও অস্ত্র ঢোকা আটকাতে পারল না? পুলিশের নজরদারি কোথায় ছিল?

Advertisement

শনিবার বোর্ড গঠনের দিন পুলিশের সামনে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে কার্যত বোমাবৃষ্টি চলে। আতঙ্ক তৈরি হয় বাগবেড়িয়ায়। একে গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা হিসাবেই দেখা হচ্ছে। যদিও জেলা পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার বলছেন, “ওই এলাকায় আমরা প্রচুর তল্লাশি চালিয়েছি। উদ্ধার হয়েছে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। গ্রেফতারও করা হয়েছে। পুলিশের যা-যা পদক্ষেপ করার তা করা হয়েছে।” তা হলে এত বোমা এল কী করে? এর কোনও জবাব পুলিশ সুপারের থেকে মেলেনি।

তবে তৃণমূল ও বিজেপি—দু’পক্ষই বোমা মজুত, আমদানি বা বানানোর কথা অস্বীকার করেছে এবং পরস্পরের উপরে দোষ চাপিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের দাবি, “আমরা যদি অস্ত্র ধরতাম তা হলে পরিস্থিতি অন্য রকম হত। প্রশাসনের উপরে ভরসা রেখেছিলাম। পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিৎ ছিল।” বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার বলছেন, “রাজ্যে তৃণমূলের মজুত বোমায় তৃণমূলেরই কার্যালয় উড়ে যাচ্ছে। সেটাই বলে দেয় বাগবেড়িয়াতে কী হয়েছে। আসলে পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে তৃণমূলকে এ সব করতে দিয়েছে।” পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, ওই এলাকা এক সময় মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি ছিল। তারা বিজেপিকে সমর্থন করছে। অনেকেই বোমা বানাতে সাহায্য করেছে। যদিও বিজেপি-র তরফ থেকে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement