এই সেই ফ্লেক্স। নিজস্ব চিত্র।
সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে যাওয়া প্রাক্তন বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়কে রানাঘাট উত্তর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাবি করে ফ্লেক্স দেখা গেল রানাঘাট ও তাহেরপুরে।
তিন দশক ধরে রানাঘাট পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন পার্থ। প্রথম পাংচ বছর বাদে পুরপ্রধান। প্রথম কংগ্রেস, তার পর তৃণমূলে। মাঝে পাঁচ বছর তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। এখনও ভোটই ঘোষণা হয়নি, কাজেই প্রার্থী ঘোষণার প্রশ্ন আসে না। তবে এই ফ্লেক্স টাঙাল কারা? বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি আশোক চক্রবর্তীর দাবি, “এটা তৃণমূলের কাজ। মানুষকে বিভ্রান্ত করার করেছে।” পার্থসারথীর ব্যাখ্যা, “আমাদের মধ্যে বিভেদ তৈরির জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। আমি দিল্লিতে অমিত শাহের কাছে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়ে বলেছি, দলের এক জন কর্মী হিসাবে কাজ করতে চাই।”
বিজেপির অনেকের মতেই, এই কেন্দ্রে পার্থসারথী তাদের প্রার্থী হলে তাঁর জেতার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই তৃণমূল আগেই কোন্দল উসকে তোলার চেষ্টা করছে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র বাণীকুমার রায় অবশ্য দাবি করছেন, “ওঁকে নিয়ে ভাবার কোনও দায় তৃণমূলের নেই। ওঁর জনপ্রিয়তা শূন্য হয়ে গিয়েছে বলেই বিজেপিতে গিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে উনি রানাঘাট শহরে কয়েক হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন।”
বিজেপিতে অবশ্য এমনিই কোন্দল লেগে রয়েছে। এর আগে মণ্ডল সভাপতি বদল নিয়ে রানাঘাটে জেলা দফতরে বিক্ষোভ হয়েছে। দক্ষিণ জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠিও গিয়েছে। বিক্ষুব্ধরা মূলত রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। দিন কয়েক আগে আবার শিমুরালিতে ভারতীয় জনতা মজদুর সেলের একটি কর্মসূচিতে প্রকাশ্যেই অশোক চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন দলের একাংশ। অভিযোগ, তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে পারেন না। সাংসদ-সহ অনেক নেতাকেই কর্মসূচিতে ডাকা হচ্ছে না। যোগ্যদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বিজেপি সাংসদ জগন্নাথও সেই সভায় ছিলেন। তবে তাঁর দাবি, “আমি যতক্ষণ ছিলাম, কেউ এই ধরনের কথা বলেননি। কারও ক্ষোভ থাকলে দলের অন্দরেই চর্চা করা উচিত। ক্ষোভ কেন, সেটাও দলের দেখা উচিত।” অশোক বলেন, “কারও কোনও অসন্তোষ থাকলে দলের মধ্যেই বলতে হবে, এটাই আমাদের দলের রীতি।”