আপাতত পঞ্চম শুরু ৩৫০ স্কুলে

মাত্র ৩৫০টি-তে পঞ্চম শ্রেণি চালু করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে।

Advertisement

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

তালিকা প্রকাশ হতেই প্রশ্নটা উঠেছিল— পরিকাঠামো ছাড়া প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি চালু হবে কী করে? সেই প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল জেলা শিক্ষা দফতরের রিপোর্ট।

Advertisement

শিক্ষা দফতরে পাঠানো জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের রিপোর্টে স্পষ্টই জানানো হয়েছে, জেলার ৯৬৬টি প্রাথমিক স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পড়ানোর অনুমোদন দিলেও অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে মাত্র ৩৫০টি-তে পঞ্চম শ্রেণি চালু করার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। ফলে, চলতি শিক্ষাবর্ষে জেলায় ওই স্কুলগুলির বাইরে পঞ্চম শ্রেণি চালু করা যাচ্ছে না।

সোমবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর থেকে ওই ৩৫০টি প্রাথমিক স্কুলের তালিকা পাঠিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) নৃপেন কুমার সিংহ বলছেন, ‘‘রাজ্যের শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতো অনুমোদনপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু আপাতত ৩৫০টির বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি চালু করা যাচ্ছে না। বিষয়টি শিক্ষা দফতরে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement

দিন কয়েক আগেই জেলা পরিষদে এ ব্যাপারে বৈঠক হয়। সেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণি চালুর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় ঠিক হয়, অনুমোদনপ্রাপ্ত স্কুলগুলির মধ্যে যেখানে পাঁচ জন বা তার বেশি শিক্ষক রয়েছেন, রয়েছে অন্তত পাঁচটি বা তার বেশি সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ এমন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি চালু করা যাবে। জেলা পরিষদের শিক্ষা দফতরের কর্মাধ্যক্ষ কৃষ্ণেন্দু রায় বলছেন, ‘‘আমরা বিভিন্ন স্কুল ঘুরে দেখেছি, অনুমোদন পেলেই তো হবে না, বিদ্যালয়গুলিতে পরিকাঠামো রয়েছে কিনা তা তো খতিয়ে দেখতে হবে। সে সব দেখে শেষতক সিদ্ধান্ত হয়েছে, মেরেকেটে ৩৫০টি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি পড়ানোর পরিকাঠামো রয়েছে। সেগুলিতে আপাতত পঞ্চম শ্রেণি চালু করা হচ্ছে। বাকিগুলির পরিকাঠামো তৈরি হোক, তার পর পঞ্চম শ্রেণি চালু করার কথা ভাবা যাবে।’’ গত মাসেই রাজ্যজুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে পঞ্চম শ্রেণি পড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। রাজ্যের মোট ১৭ হাজার ৯৯৬টি প্রাথমিকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় মুর্শিদাবাদের ৯৬৬টি প্রাথমিক স্কুল ছিল। কিন্তু তালিকা দীর্ঘ হলেও সেই সব স্কুলের অধিকাংশেই যে পরিকাঠামো তেমন নেই বলাই বাহুল্য। জেলার শিক্ষা কর্তারা তা খতিয়ে দেখেই তাই পিছিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। জেলা শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্ত কার্যত পরিকাঠামোর অভাবের অভিযোগকে স্বীকৃতি দিল। পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এত স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল এখন তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। জেলা শিক্ষা দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘রাজ্য থেকে সেই তালিকা দেওয়া হয়েছিল। ওঁরা কী ভাবে তালিকা তৈরি করেছিলেন কী দেখে ওঁদের এমন সিদ্ধান্ত ওঁরাই বলতে পারবেন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement