—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
সারের দাম বেশি নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন চাষিদের একাংশ। সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি রুখতে নওদার বিভিন্ন এলাকায় ‘কৃষক সংগ্রাম কমিটি’ তৈরি করছেন চাষিরা। চাষিদের দাবি, অনেক সার বিক্রেতা বেশ কিছু সারের নির্ধারিত দামের চেয়ে চাষিদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নিচ্ছেন। তাই কোনও সার বিক্রেতা প্যাকেটের গায়ে লেখা দামের থেকে দাম বেশি নিলে বা সার কেনার পরে ক্যাশমেমো না দিলে ওই বিক্রেতার ছবি, ভিডিয়ো তুলে ওই সার বিক্রেতার নাম, ঠিকানা সহ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের কাছে। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। সম্প্রতি পুজোর ছুটির মধ্যেও সার বিক্রেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন কৃষি দফতর সহ প্রশাসনের কর্তারা। সারের দাম বেশি নিলে অভিযুক্ত সার বিক্রেতাদের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে বলেও জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
চাষিদের অভিযোগ, বিভিন্ন সারের দাম প্যাকেট পিছু তিনশো থেকে চারশো টাকা বেশি নিচ্ছেন সার বিক্রেতারা। ক্যাশমেমোও দিতে রাজি হচ্ছেন না অধিকাংশ সার বিক্রেতা। নওদার পাটিকাবাড়ি এলাকার চাষি সফিকুল মণ্ডল বলেন, ‘‘এখন পেঁয়াজ লাগানোর মরসুম এই সময়ে প্রতিবছর এক শ্রেণির সার বিক্রেতা দাম বেশি নেন।’’ মহকুমা সহ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) আনিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রতিটি ডিলার, সার বিক্রেতাকে বলা হয়েছে নির্ধারিত দামে সার বিক্রির জন্য। বিক্রেতাদের কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। কোনও ডিলার বা সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ দিন কয়েক আগে অবৈধ ভাবে সার নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন পাটিকাবাড়ি এলাকার চাষিদের একাংশ। মঙ্গলবার নওদার মধুপুরে এক সার বিক্রেতার সঙ্গে চাষিদের বচসার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয় (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার)।
সার বিক্রেতা সংগঠনের নওদা ব্লকের সভাপতি তাজ আলি মণ্ডল বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনে বিক্রেতাদের ঘরে নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে সার পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। অন্যথায় কিছু সার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়। ফলে অনেক বিক্রেতা বেশ কিছু সার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।’’