বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সেচ নিয়ে আশঙ্কায় চাষি

দিন পনেরো ধরে পারদ ৪০ ডিগ্রি থেকে নামছে না। এই অবস্থায় খেতের ফলন্ত ধান ঝলসে যাচ্ছে। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে চাষিরা খেতে সেচও দিতে পারছেন না। ফলে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কান্দি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৬ ০২:৪১
Share:

দিন পনেরো ধরে পারদ ৪০ ডিগ্রি থেকে নামছে না। এই অবস্থায় খেতের ফলন্ত ধান ঝলসে যাচ্ছে। কিন্তু ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে চাষিরা খেতে সেচও দিতে পারছেন না। ফলে ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। মুর্শিদাবাদের জেলার ধান উৎপাদন অঞ্চলগুলির মধ্যে কান্দি, খড়গ্রাম , বড়ঞা, ভরতপুর-১ ও ২ নম্বর ব্লকের স্থান বেশ উপরের দিকে। ওই সব বিস্তীর্ণ এলাকায় দিন-রাতে নিয়ম করে একাধিকবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে। ফলে জমিতে জল দিতে না পেরে চাষিদের মাথায় হাত।

Advertisement

চাষিদের দাবি, বোরো মরসুমের শুরুর দিকে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা ছিল। অষ্টপ্রহরই বিদ্যুৎ মিলত না। কিন্তু এখন ধান ওঠার মুখেই বিদ্যুতের দেখা নেই। ফলে চাষিরা পাকা ধানে মইয়ের মতো ক্ষতির আশঙ্কা করছে। বড়ঞার এক চাষি জানালেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক বিদ্যুৎ থাকছে না। দিনের অন্য সময়েও লো-ভোল্টেজের দরুন সেচের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বড়ঞার হরিধ্বনি গ্রামের চাষি কালীচরণ মণ্ডল বলেন, “এখনও ধান কাটতে প্রায় দিন কুড়ি বাকি। এই সময় ধান-জমিতে সেচের খুব প্রয়োজন। জল না পেলে ধানের দানা তৈরি হয় না। আর এই সময়েই বিদ্যুতের খামখেয়ালিপনায় চাষের দফারফা অবস্থা।’’

Advertisement

শুধু বড়ঞা নয়, কার্যত গোটা কান্দি মহকুমাজুড়েই সেচের সঙ্কট চলছে। মহকুমার সব ব্লকের চাষিরাই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচ দিতে পারছেন না। ভরতপুর-১ ব্লকের বাসিন্দা জানে আলম বলেন, “বোরো চাষের শুরু থেকেই লো-ভোল্টেজের কারণে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছিল। তবে গরমটা বাড়তে এখন আবার বিদ্যুতের দেখাই মিলছে না।’’

কান্দি ব্লকের সহ-কৃষি আধিকারিক উৎপল দাস বলেন, “সাধারণত বিঘা প্রতি ৮ কুইন্ট্যাল ধান হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভ্রাটে যে ভাবে সেচের কাজ ব্যাহত হচ্ছে তাতে বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু ধানের পরিপাকের সময় যদি সেচের অভাব থাকে তাহলে সেই ফলন সারেছয় থেকে সাত কুইন্টাল পর্যন্ত হবে।”

বিদ্যুতের সমস্যার কারণে যে বোরোধান চাষের ক্ষতি হচ্ছে এমন অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ বিদ্যুৎ বন্টন দফতরের কর্তাব্যাক্তিরা। ওই দফতর সূত্রে খবর বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই। তবে লো-ভল্টেজ থাকতে পারে সেটা অতিরিক্ত গরমের কারণে বিদুতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement