মৃতার বাবা-মা আটক
Murder

Arrest: বালিকা খুনে হরিয়ানায় ধৃত সন্দেহভাজন

পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে ধৃত সন্দেহভাজন পুলিশের কাছে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও সে জানিয়েছে, ওই বালিকাকে খুন করেছে তারই নিজের মা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

আট বছরের নাবালিকা খুনে ফরাক্কা থানার পুলিশ হরিয়ানা থেকে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করল মঙ্গলবার। চার দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে বুধবার রাতেই তাকে ফরাক্কায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ফরাক্কার যেখানে ওই বালিকার দেহ মেলে তার পাশেই বাড়ি তার।

Advertisement

পুলিশের দাবি, প্রাথমিক ভাবে ধৃত সন্দেহভাজন পুলিশের কাছে খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও সে জানিয়েছে, ওই বালিকাকে খুন করেছে তারই নিজের মা। মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক দেখে ফেলার কারণেই এই খুন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছে ধৃত। তবে পুলিশ এখনই ধৃতের কথা পুরোপুরি বিশ্বাস করছে না। তাই এখনই পুলিশ মৃত বালিকার মাকে গ্রেফতারও করেনি। ধৃতকে ফরাক্কায় নিয়ে এসে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের পরই খুনের মোটিভ ও বিস্তারিত সব কিছু জানা সম্ভব হবে। তবে পুলিশ প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতার মা ও বাবাকে আটক করেছে।

শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পাশেই এক চায়ের দোকানে টিভি দেখতে গিয়ে রাতভর আর বাড়ি ফেরেনি ৮ বছরের ওই নাবালিকা। পরদিন সকালে বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে গঙ্গা ও বাগমারি নদীর সংযোগ স্থলের পাশেই নদীর পাড়ে তার অনাবৃত দেহ উদ্ধার করে গ্রামবাসীরা। প্রথম থেকেই গ্রামবাসীদের সন্দেহ ছিল, দুষ্কৃতী ওই বালিকারই চেনা পরিচিত কেউ। চিনে ফেলার কারণেই এই ভাবে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হয়েছে। ময়না তদন্তে খুনের প্রমাণ মিললেও তার উপর যৌন নির্যাতনের প্রমাণ মেলেনি।

Advertisement

সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা রবিবার ফরাক্কা থানায় গিয়ে এক সন্দেহভাজনের নাম পরিচয় জানিয়ে আসে পুলিশকে। মঙ্গলবার ফরাক্কা থানার পুলিশের হরিয়ানায় গিয়ে তাকে গ্রেফতারে বেগ পেতে হয়নি।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জানায়, বালিকার মা’ই তাকে খুন করেছে। সেই মৃতদেহ সে ফেলে এসেছে নদীর পাড়ে। কিন্তু তার কথায় গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করতে পারছে না। খুনের পর মায়ের হাবভাবেও সে রকম কিছু বোঝা যায়নি। সাধারণ এক মহিলার পক্ষে কাউকে খুন করার পর নিজেকে এতটা আড়াল করা কী করে সম্ভব তা ভেবে পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা।

ফরাক্কার এসডিপিও অসিম খান বলেন, “হরিয়ানা পুলিশের সাহায্য নিয়ে ফিটু শেখ নামে এক জনকে ধরা হয়েছে। তাকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসা হচ্ছে ফরাক্কায়। তদন্ত শেষ হওয়ার আগে কিছু বলা যাবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement