চাকা চলে না। ফরাক্কায় অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।
সেই চেনা জটে আবারও জড়াল যানবাহন।
মাস খানেক আগেই এক বার দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছিল ফরাক্কায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতে আবারও শুরু চেনা ভোগান্তি। দিন সাতেক ধরে সকাল থেকে টানা যানজটে রীতিমতো স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জাতীয় সড়ক। তবে সোমবার সকালের পরিস্থিতি অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিল। এ দিন সকাল থেকেই জাতীয় সড়কে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। ফরাক্কা বাঁধ থেকে জয়কৃষ্ণপুর হাই স্কুলের পাশে চসকাপুর পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। রাত পর্যন্ত এ ছবি বদলায়নি। যানজটে বাস, লরি তো বটেই বল্লালপুর থেকে ফরাক্কা বাঁধ পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্স ও অন্যান্য অত্যাবশকীয় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত গাড়িও আটকে পড়ে।
কিন্তু কেন এই অবস্থা? বারবার কেন ভুগতে হচ্ছে মানুষকে?
বল্লালপুরের দক্ষিণ মোড় থেকে পুরনো ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বাঁক নিয়েছে রেলগেটের দিকে। আর যানজটের প্রধান উৎস সেটাই। খানাখন্দময় এই পুরনো রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে পিচ পড়ে না। পাথর উঠে রাস্তা়র মাঝে প্রমান মাপের গর্ত। দিনকয়েকের লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে রাস্তার দশা আরও খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভাঙাচোরা এই রাস্তায় মধ্যেই রয়েছে রেলগেট। দিনে অন্তত ৩০ বার রেলগেটটি বন্ধ হয়। এই অবস্থায় রেলসেতু তৈরি না হলে যানজট পুরোপুরি বন্ধ হবে না। এ দিকে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেতুর কাজ শেষ হতে আরও অন্তত মাস ছয়েক লাগবে।
অনেকে আবার দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে যানজটের জন্য দায়ী করছেন। জাতীয় সড়ক নির্মাণকারী সংস্থার এক কর্তা বলছেন, “বল্লালপুরের মোড়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা অতি দুর্বল। ওই মোড়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক ভলানটিয়ারদের পরোয়া না করেই লরি, ছোট গাড়ি ঢুকে পড়ছে। ফলে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে যানজট।’’
জঙ্গিপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত ঘন ঘন যানজটের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন। তিনি বলেন, “অনেক দিন থেকেই পুলিশ ওই বেহাল রাস্তা সংস্কারের কথা বলেছিল। তা শোনা হয়নি। এ দিন অবশ্য সে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি এর ফলে যানজটের
সমস্যা মিটবে।”