নিরাপত্তা চায় পালবাড়ি

শনিবার সাহাপুরে ছিল বন্ধুপ্রকাশের শ্রাদ্ধ-শান্তি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১৩
Share:

সপরিবারে বন্ধুপ্রকাশ। —ফাইল চিত্র

আততায়ীর আক্রমণে দশমীর সকালেই শেষ হয়ে গিয়েছে বন্ধুপ্রকাশের গোটা পরিবার। এ বার তাঁর পরিবারের অন্যরা পুলিশি নিরাপত্তার দাবি জানাল।

Advertisement

শনিবার সাহাপুরে ছিল বন্ধুপ্রকাশের শ্রাদ্ধ-শান্তি। সেখানেই তাঁর পরিবারের অন্যদের দাবি, ‘নিরাপত্তাহীনতা’ ভুগছেন তাঁরা। বন্ধুপ্রকাশের মাসতুতো ভাই বন্ধুকৃষ্ণ বলেন, ‘‘এখনও খুনি ধরা পড়েনি। আমি থানায় এফআইআর করেছি। তাই ভয়ে আছি। বুধবার রাতে মোটরবাইকে চড়ে যখন সাহাপুরে আসছিলাম তখন বেণীপুরের কাছে আমাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।’’ কিন্তু তার পরে তিন দিন কেটে গেলেও সে কথা পুলিশকে জানাননি তিনি। কেন? তাঁর দাবি, ‘‘পুলিশকে জানিয়ে কী করব, তারা তো এ তদন্তই এগোতে পারছে না!’’

তবে পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই অভিযোগ কানে আসার পরে এলাকায় খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু তার সত্যতা মেলেনি। আশপাশের কেউই সে রাতে গুলি চালানোর শব্দ শোনেননি। তবে পাল পরিবারের যে পুলিশের উপরে আস্থা নেই সে কথা স্পষ্টই জানিয়েছেন তাঁরা। বন্ধুপ্রকাশের মা মায়ারানি পাল বলেন, “ছেলেকে কে মারল, কেন মারল জানি না। তারা ধরা পড়েনি। আমরা পুলিশের কাছে গোটা পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছি।’’ জেলা পুলিশ অবশ্য সে সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘লিখিত ভাবে আমাদের কাছে কোনও নিরাপত্তা চাওয়া হয়নি। পুলিশের তরফে তার কোনও প্রয়োজন আছে বলেও মনে হচ্ছে না।’’ এ দিন সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দারা অবশ্য জানিয়েছেন, গ্রামের সবাই ওই পরিবারের পাশে আছেন। প্রয়োজনে তাঁরা পাল পরিবারের নিরাপত্তাও দেবেন।

Advertisement

জিয়াগঞ্জের নিঝুম বাড়ির সামনে অবশ্য পুলিশে ছয়লাপ। বাড়িটি দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখায় পাড়ার বাসিন্দাদের চলাচলের প্রশ্নেও পুলিশি প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement