—প্রতীকী চিত্র।
স্বামী পেশায় চিকিৎসক। কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে কর্মরত। তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে জায়গায় জায়গায় ক্লিনিক খুলে বসেছিলেন এক যুবক! খবর পাওয়া মাত্রই রোগী সেজে তাঁকে হাতেনাতে ধরলেন সেই চিকিৎসকের স্ত্রী। তুলে দিলেন পুলিশের হাতে।
মুর্শিদাবাদের সুতি থানার এলাকার ঘটনা। ধৃত ভুয়ো চিকিৎসকেরা নাম মাকসুদ রহমান। তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের শক্তিপুর থানার মিল্লি গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, নদিয়ার কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে তিন বছরের এমডি কোর্স করছেন মালদহের বাসিন্দা মাসুদ রহমান। অভিযোগ, নামের মিল থাকায় তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর ব্যবহার করে মুর্শিদাবাদের সুতি, শমসেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ থানা এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় প্রাইভেট চেম্বার খুলেছিলেন মাকসুদ। বিভিন্ন নার্সিংহোমেও রোগী দেখতেন। বুধবার রাতেও মাকসুদ ঔরঙ্গাবাদ সাজুর মো়ড়ের কাছে একটি নার্সিংহোমে রোগী দেখছিলেন। সেই সময়েই রোগী সেজে তাঁর কাছে যান মাসুদের স্ত্রী তামান্না রহমান। সেখানেই মাকসুদ ধরা পড়ে যান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত জেরায় জানিয়েছেন, তাঁর কাছে কোনও ডাক্তারি ডিগ্রি নেই। তিনি দীর্ঘ দিন বিভিন্ন চিকিৎসকের সহায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই রোগী দেখতেন। বৃহস্পতিবার মাকসুদকে জঙ্গিপুর আদালতে হাজির করানোর সময় তিনি বলেন, ‘‘তদন্ত চলুক। যা বলার তখন বলব।’’