বন্ধুপ্রকাশ পালের পড়শি
দশমীর দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম তখন দুপুর বারোটা হবে। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে বাজার জাওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। এমন সময় বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি থেকে হট্টগোলের আওয়াজ শুনতে পাই। আমি দৌড়ে রাস্তার পাশের দরজা দিয়ে ওঁর বাড়ি ঢুকে দেখি, বাড়িতে যে দুধ দেয় সে চিৎকারটা করছে। দরজা ঠেলে আর একটু ঢুকতেই দেখি, একটা বছর পঁচিশের যুবক পিছনের দরজা দিয়ে বেড়িয়ে গেল। কিছু না বুঝেই আমি ধরধর করে চেঁচিয়ে ওই যুবকের পিছনে ধাওয়া করি। ওই যুবক খালি পায়ে খালি হাতেই দৌড়চ্ছে। আমার চিৎকার শুনে বন্ধুপ্রকাশের বাড়ির পাশে থাকা মন্দিরে কয়েকজন আড্ডা মারছিল। তারাও পিছু নেয় ওই যুবকের। তার পর মসজিদের রাস্তা দিয়ে দৌড়িয়ে ওই যুবক হরি মন্দিরের পাশের রাস্তাতে ঢুকে যায়। যুবক এত জোড়ে ছুটেছে যে আমাদের পক্ষে বেশি দুর ছোটা সম্ভব হয়নি। সেখান থেকে ফিরে বন্ধুপ্রকাশের বাড়ি এসে দেখি ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। আমাকে আমি প্রথমটায় কিছু বুঝতেই পারিনি। ভেবেছিলাম, চুরিটুরি করতে ঢুকেছিল ওই যুবক। এ বার বুঝলাম খুন। তখনও বুঝিনি গোটা পরিবারটা নিকেশ করে পালিয়েছে ওই যুবক। আমার হাত পা তখন কাঁপতে শুরু করেছে। গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছিল না তখন।