রানাঘাটের সেই স্কুলে পরীক্ষা নির্বিঘ্নেই

মাদার সুপিরিয়র দুষ্কৃতীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে হাসপাতালে। স্কুলের বাইরে অনবরত টহল দিচ্ছে পুলিশ, যখন তখন স্কুলে আসছেন পুলিশের বড়কর্তারা। গত দু’দিন রাস্তায় নেমে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। এমন প্রবল চাপের মুখে সোমবার বোর্ডের পরীক্ষা দিল রানাঘাটের কনভেন্ট স্কুলটির দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। আইসিএসসি এবং আইএসসি, দুটি পরীক্ষাই এ দিন হল নির্বিঘ্নে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০২:৫২
Share:

মাদার সুপিরিয়র দুষ্কৃতীদের হাতে নির্যাতিত হয়ে হাসপাতালে। স্কুলের বাইরে অনবরত টহল দিচ্ছে পুলিশ, যখন তখন স্কুলে আসছেন পুলিশের বড়কর্তারা। গত দু’দিন রাস্তায় নেমে চলছে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ। এমন প্রবল চাপের মুখে সোমবার বোর্ডের পরীক্ষা দিল রানাঘাটের কনভেন্ট স্কুলটির দশম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা। আইসিএসসি এবং আইএসসি, দুটি পরীক্ষাই এ দিন হল নির্বিঘ্নে।

Advertisement

সকাল ১১টায় আইসিএসসি-র পদার্থবিদ্যার পরীক্ষা শুরু হয়। দুপুর ২টো থেকে শুরু হয় আইএসসি-র অঙ্কের পরীক্ষা। অশান্তির আশঙ্কায় স্কুলে ছিল কড়া পুলিশি ব্যবস্থা। তবু পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলের মুখে উদ্বেগের ছায়া। গত শুক্রবার রাতে এই স্কুলেই হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতি পরে মাদার সুপিরিয়রকে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে। এরপর থেকেই উত্তাল স্কুল ও সংলগ্ন এলাকা। রাস্তা অবরোধ থেকে বিক্ষোভ, কিছুই বাদ যায়নি। এ দিন সন্ধ্যায় ফের পড়ুয়া-অভিভাবকরা ঘটনার বিচার দাবি করে স্কুলের সামনে থেকে মিছিল করেন।

এই উত্তাল পরিবেশেই চলছে পরীক্ষা। ১৮ ফেব্রুয়ারি আইএসসি, এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি আইসিএসসি শুরু হয়েছে। হোম সেন্টার, অর্থাৎ নিজেদের স্কুলেই পরীক্ষা হচ্ছে। এরই মধ্যে ১৫ মার্চ স্কুলে ঘটে গেল লুঠপাট, বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণের মতো অপরাধ। সাড়া পড়ে গিয়েছে সংবাদমাধ্যমেও। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার মধ্যে পড়ুয়াদের মনে এই তীব্র মানসিক অভিঘাত, স্কুল ঘিরে অশান্তির পরিবেশ পরীক্ষার্থীদের মনে ছাপ ফেলবে, মনে করে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। রানাঘাট শহরের বাসিন্দা প্রতিমা দেবনাথ বলেন, “প্রিয় মাদারের এমন পরিণতি পড়ুয়াদের মনে সাঙ্ঘাতিক প্রভাব ফেলেছে। গত কয়েক দিন মেয়ে ভাল করে পড়তে পারেনি।” দশম শ্রেণির ছাত্র নীলাদ্রি ভট্টাচার্যের কথায়, “গত দু’দিন পড়তে বসলেই ওই ঘটনার কথা মনে পড়ে শিউরে উঠেছি।” আইসিএসসি পরীক্ষার্থী শ্রেয়া নাগচৌধুরীও বলছে, “মাদারকে খুব ভালবাসতাম। ঘটনার পর থেকে আমরা খুব ভেঙে পড়েছি, কিছুতেই পড়ায় মন দিতে পারছি না।”

Advertisement

পরীক্ষা অবশ্য ভালই হয়েছে, বলছে পড়ুয়ারা। পরীক্ষার্থীদের কথায়, “আগে থেকেই ভাল প্রস্তুতি ছিল। পরীক্ষা তাই ভালই হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement