আকাল বোধন
Durga Puja 2020

হাতে দস্তানা পরলে তবে পুজোর জোগাড়

প্রতি বছরের মতো এ বার পুজো উপলক্ষে ক্লাবের মাঠে মেলা বসছে না।

Advertisement

সন্দীপ পাল

বেথুয়াডহরি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি

এলাকায় বড় বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম খেলাঘর ক্লাবের দুর্গোৎসব। গত ৫৫ বছর ধরে ঐতিহ্য মেনে জাঁকজমকের সঙ্গে পুজো করে আসছেন পুজো কর্তারা।

Advertisement

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, বেথুয়াডহরি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষের মন জয় করেছে এই খেলাঘর ক্লাবের দুর্গাপুজো। তবে এই বছরে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে পুজোর বাজেটে অনেকটাই কাটছাঁট করতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের। জানা গিয়েছে, যে পুজোর বাজেট প্রতি বছর ৬ থেকে ৭ লক্ষের মধ্যে থাকে, তা নেমে এসে এই বছরে দাঁড়িয়েছে মাত্র আড়াই লক্ষ টাকার কাছে। ক্লাব কমিটি জানাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সকলের কথা চিন্তা করেই এই সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে।

ক্লাবকর্তাদের কথায়, ‘‘সদস্যকে জোর করা হয়নি চাঁদার বিষষে। সমস্ত সদস্যের আলোচনায় উঠে এসেছে নিজের ইচ্ছেমতো চাঁদা দেওয়ার কথা। আমরা সেটাই মেনেছি।’’

Advertisement

ক্লাবের পাশেই মাঠে বড় মণ্ডপ করে প্রতি বছর দুর্গাপুজো করা হয়। প্রাচীন মন্দির-সহ বিভিন্ন ভাস্কর্য মণ্ডপের মাধ্যমে আগে তুলে ধরেছে এই ক্লাব। তবে এই বছরে করোনা অতিমারির কারণে ছোট, খোলামেলা মণ্ডপ গড়ানোর ভাবনা রয়েছে ক্লাবের। জানা গিয়েছে, মণ্ডপের তিন দিক খোলাই থাকবে এ বছর। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে মণ্ডপের পিছনে প্রতি বছর দুই থেকে তিন লক্ষ ব‍্যয় করা হয়, এ বছর তা কাটছাঁট করে মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

এ ছাড়াও এই ক্লাব প্রতি বছরই প্রতিমায় নিত্যনতুন চিন্তাভাবনার আমদানি ঘটায়। তবে এ বার সাবেকি প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতি বছর যে প্রতিমা খরচ বাবদ ব্যয় করা হয় প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা, সেই প্রতিমা গড়ার এই বছরের খরচ ধরা হয়েছে মাত্র কুড়ি হাজার টাকা। এ ছাড়াও আলোকসজ্জার বাজেটও কাটছাঁট করেছে ক্লাব কমিটি।

প্রতি বছরের মতো এ বার পুজো উপলক্ষে ক্লাবের মাঠে মেলা বসছে না। পারস্পরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে মাত্র কয়েকটি খাবারের দোকানের স্টল বসার অনুমতি দেওয়া হবে। এমনকি, অন্য বছর পুজোর নবমীর সন্ধ্যায় বাজি ফাটানো হত। তার জন্য কিছু টাকা বরাদ্দ থাকত। এ বছর সে সবই বন্ধ।

ক্লাবের সম্পাদক অরুণাভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে বাজির অনুষ্ঠান দেখতে আসতেন। খুব ভাল লাগত আমাদের। তবে এ বছর সেই অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। খারাপ লাগছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াটাই প্রধান বিষয়। সেই দিকে আমাদের ক্লাব সবসময় নজর রাখছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement