প্রস্তুত: কল্যাণী স্টেডিয়াম। —নিজস্ব চিত্র
আই লিগ, কলকাতা লিগের পর এ বার ডুরান্ড কাপের সাক্ষী হতে চলেছে কল্যাণী। অগস্টের ৭ থেকে ১৮ তারিখের মধ্যে সাতটি খেলা হবে কল্যাণী স্টেডিয়ামে।
কল্যাণী স্টেডিয়াম কমিটির সভাপতি নীলিমেশ রায়চৌধুরী জানান, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ফ্লাডলাইট বসানো হয়েছে। বানানো হয়েছে চারটি ড্রেসিং রুম। কমেন্ট্রি বক্সেরও আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ জানান, বহু দিন ধরেই এই স্টেডিয়ামকে উন্নত মানের করে গড়ে তোলার চেষ্টা শুরু হয়েছিল। কলকাতার কাছাকাছি হওয়ার কারণে কল্যাণী স্টেডিয়ামের অনেক সুবিধা রয়েছে। এখানে অনেক বড় খেলা হতে পারে। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই মাস কয়েক আগে ফ্লাডলাইট লাগানো হয়। মাঠে নতুন করে ঘাস লাগানো হয়েছে। গ্যালারির মানও আগের থেকে উন্নত করা হয়েছে।
নীলিমেশ জানান, প্রায় ২০ হাজার দর্শক মাঠে বসতে পারেন। পাশাপাশি, নজর দেওয়া হয়েছে খেলোয়াড়দের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে। দেশ বিদেশের বহু মাঠ ঘুরে মনের মতো করে এই মাঠ তৈরি করেছেন স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। নীলিমেশ বলেন, ‘‘ডুরান্ড কাপের খেলার জন্য আবেদন করা হয়। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা একাধিকবার মাঠ পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তাঁদের ফ্লাডলাইটের কার্যকারিতাও হাতেকলমে দেখানো হয়েছিল। শেষমেশ তাঁরা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।’’
কল্যাণী স্টেডিয়াম ভবন। —নিজস্ব চিত্র
অগস্টের ৭ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত চারটি খেলা হবে কল্যাণীতে। তা ছাড়াও ১৪, ১৭ এবং ১৮ তারিখেও খেলা হবে। ওই খেলাগুলির পর সাফ গেমসের অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগের খেলা এবং কলকাতা লিগেরও খেলা হবে কল্যাণীতে। আগামী দিনে কল্যাণী স্টেডিয়ামে ফুটবলের পর পর ম্যাচ দেখার অপেক্ষাতেই শহরের ক্রীড়াপ্রেমীরা। শহরের বাসিন্দা অভিজিৎ শীল বলেন, ‘‘এখানে সিএবির মাঠে রঞ্জি খেলা হয়। এ বার ফুটবলেরও অনেক বড় বড় ম্যাচ হবে। ফলে শহরের মানুষকে আর কলকাতায় যেতে হবে না খেলা দেখতে।’’
বিগত দিনে আই লিগ, কলকাতা লিগের জমজমাট ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা হয়েছে কল্যাণীর। এ বার অপেক্ষা ডুরান্ডের।