Panchayat

প্রধানই বদলে যায়, কাজ নেই

এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গিয়ে দেখা যায়,  বসার জায়গা দূরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকারও ঠিক মতো জায়গা নেই। তা হলে সব মিলিয়ে উন্নয়নের কি হল, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

Advertisement

অমিতাভ বিশ্বাস

করিমপুর শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০২
Share:

হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। নিজস্ব চিত্র

প্রভাব খাটিয়ে বিজেপির সদস্য ভাঙিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ দখল করেও কথা রাখতে পারেনি তৃণমূল। ২০১৮ সালের ভোটের পর নির্দল প্রার্থী কোনও পক্ষকেই সমর্থন করতে না চাওয়ায় প্রায় ছ’মাস দেরি হয়ে যায় এই বোর্ড গঠন করতে। শেষে বিজেপি সদস্য পূর্ণিমা মণ্ডলকে দলে টেনে প্রধান করে তৃণমূলের বোর্ড গঠন করে। প্রায় দু’বছর প্রধান থাকার পর তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান। এর পর উপপ্রধান সোনামণি নন্দীই প্রধানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে সঞ্চিতা বিবি মণ্ডল নতুন প্রধান হন।

Advertisement

বারবার প্রধান বদলের পরেও কিন্তু পঞ্চায়েতের উন্নয়নে গতি আসেনি। দুর্লভপুর, হরেকৃষ্ণপুর, বাসন্তীতলা পাড়া, উত্তর কৃষ্ণপুর, কুমরি, গোপালপুরঘাট-সহ প্রায় বেশির ভাগ এলাকায় রাস্তার পাথর উঠে গিয়েছে। যাতায়াত করতে গিয়ে মাঝে-মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। পাঁচ বছর আগের এলাকার চেহারার সঙ্গে বর্তমান চেহারার তেমন পার্থক্য নেই। ভোটের আগে বিশেষ করে ভাল রাস্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েই কিন্তু পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। বিজেপি সদস্য যেমন তৃণমূলে গিয়ে তাদের সমর্থকদের মন ভেঙেছেন, তেমনই তৃণমূল পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করে এলাকার মানুষকে নিরাশ করেছে বলে অভইযোগ বহু মানুষের। এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গিয়ে দেখা যায়, বসার জায়গা দূরের কথা, দাঁড়িয়ে থাকারও ঠিক মতো জায়গা নেই। তা হলে সব মিলিয়ে উন্নয়নের কি হল, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement