unnatural death

ঠাকুরঘর থেকে উদ্ধার হল নরসুন্দরের ঝুলন্ত দেহ, ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণের চাপেই কি আত্মহত্যা?

নবগ্রামের কল্যাণগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদনের সেলুন ছিল। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের মতো শনিবারও সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। সকালে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নবগ্রাম শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:০৪
Share:

ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।

ঠাকুরঘর থেকে উদ্ধার হল নরসুন্দরের ঝুলন্ত দেহ। রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের কল্যাণগঞ্জ গ্রামে। মৃতের নাম মধুসূদন বিশ্বাস (৪২)। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ করেছিলেন। সেই কারণেই তিনি আত্মঘাতী হলেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হচ্ছে অন্যান্য সম্ভাবনাও।

Advertisement

নবগ্রামের কল্যাণগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদনের সেলুন ছিল। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি দিনের মতো শনিবারও সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরেন তিনি। এর পর রাতে খাওয়াদাওয়ার পর পরিবারের সকলে ঘুমোতে যান। রবিবার ভোরে ঠাকুরঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায় মধুসূদনের দেহ। তাঁকে উদ্ধার করে নবগ্রাম প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।

মধুসূদনের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সেই টাকা শোধ করতে না পারায় ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। তাঁর বাবা অজয় বিশ্বাস বলেন, ‘‘ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে কেন এই পাহাড়প্রমাণ ঋণ ও করল তা বলতে পারব না।’’ স্ত্রী এবং দুই যমজ সন্তান রয়েছে মধুসূদনের। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ জানিয়েছেন মধুসূদনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement