প্রতীকী ছবি।
আমতলা এলাকায় ব্যস্ত বাজারের পাশেই আমতলা গ্রামীণ হাসপাতাল। নওদা, হরিহরপাড়া তো বটেই, এমনকি পড়শি জেলা নদিয়ার কয়েকটি গ্রামের মানুষও চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালের ওপর নির্ভর করেন। বহির্বিভাগের পাশাপাশি জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে খবর, লকডাউন এবং করোনা আবহে হাসপাতালে পরিষেবা উন্নত হয়েছে।
আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে মোট পাঁচজন চিকিৎসক রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন একজন হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক। লকডাউনের সময় পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সেই জন্য চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকছেন হাসপাতালের আবাসনেই। তবে স্থানীয়দের বক্তব্য, মাসদুয়েক আগেও হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন শয়ে শয়ে রোগী ভিড় করতেন। এখন করোনা-আতঙ্কে রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। নিতান্ত নিরুপায় না হলে কেউ-ই আর হাসপাতালের রাস্তা ধরছেন না। ফলে হাসপাতালের সেই চেনা ভিড় উধাও। এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘আগে প্রতিদিন গড়ে ন’শো থেকে এক হাজার রোগী আসতেন। এখন সেটাই কমে হয়েছে একশো।’’ হাসপাতালের এক চিকিৎসক রসিকতার সুরে বলেন, ‘‘আগে সামান্য জ্বর সর্দি-কাশি নিয়েই মানুষ হাসপাতালে ভিড় করতেন। কিন্তু এখনম উল্টো চিত্র। কাশি শুনে পাছে করোনা সন্দেহে ১৪ দিন কোয়রান্টিনে রাখা হয়, সেই ভয়ে অনেকেই হাসপাতালমুখো হচ্ছেন না।’’ ৫০টি শয্যার এই হাসপাতালে কমেছে ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যাও। আউটডোরে যাতে অহেতুক ভিড় না হয় সেই জন্য আগের চেয়েও বেশি সংখ্যায় চিকিৎসক আউটডোরে রোগী দেখছেন। আরবিএসকে প্রকল্পের স্কুল হেলথের চার জন চিকিৎসককেও এই সময়ে কাজে লাগানো হয়েছে।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলছেন, ‘‘সাধারণ রোগীর ভিড় কমেছে ঠিকই, কিন্তু পরিযায়ী শ্রমিকদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। দলে দলে শ্রমিক ঘরে ফেরার জন্য আসছেন হাসপাতালে। তাঁদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পর ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালে একদিন শিবির করে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।’’