আলুর দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার অবয়ব তৈরি করছেন শতাব্দী মণ্ডল। ছবি:সুদেব দাস।
মাটি, পাথর বা কাঠ নয়। তিনটি সম আয়তন আলুতে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার অবয়ব ফুটিয়ে তুললেন রানাঘাটের বধূ। রথযাত্রার আগে আলুর সাহায্যে তৈরি জগন্নাথদেবকে দেখার উৎসাহ বেড়েছে পড়শিদের মধ্যে।
রানাঘাট শহরের মহাপ্রভুর পাড়ার বাসিন্দা বছর সাতাশের শতাব্দী মণ্ডল ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালবাসেন। বেশ কিছু দিন আগে হঠাৎই শতাব্দীর মাথায় আসে তিনটি আলুর সাহায্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার অবয়ব তৈরি করবেন। কয়েক দিনের চেষ্টায় সফল হন। প্রায় তিন ইঞ্চি উচ্চতার তিনটি চন্দ্রমুখী আলু, রং, কাগজ, জরি, তুলি ও আঠার সাহায্যে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার অবয়ব তৈরি করেছেন শতাব্দী। তিনি বলেন, ‘‘ছোট থেকেই ছবি আঁকতে ভালবাসি। মাঝেমধ্যেই সময় পেলে এ ধরনের কাজ করতে ইচ্ছে হয়। সংসার সামলে সবসময় তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই ধরনের কাজের মধ্যে এক অন্য ধরনের আত্মতৃপ্তি রয়েছে।’’ এর আগেও একটি লাউয়ের উপর দুর্গা এঁকে ছিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা সিংহাসনের স্থান পেয়েছে।
আলুতে তৈরি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে দেখতে শতাব্দীর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও।
তাঁদের অনেকেই বলছেন, ‘‘এই ধরনের কাজ সাধারণত পাথর কিংবা কাঠের উপর হতে দেখেছি। কিন্তু চন্দ্রমুখী আলুতে এমন নিপুণ শিল্পকর্ম এই
প্রথমবার দেখলাম।”