Farm lands Cracked

বৃষ্টির অভাবে ফেটে চৌচির চাষের মাঠ

বৃহস্পতিবার রাজ্যের কৃষি দফতর থেকে জেলায় জেলায় এ বিষয়ে পরামর্শ পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৮:২৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ঘোর আষাঢ়েও পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে মাঠঘাট ফেটে চৌচির হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে এখনও ধানের বীজতলা তৈরি করতে পারেননি। যাঁরা বীজতলা তৈরি করেছেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। আবার এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে পাট পচাতে যেমন সমস্যা হবে, তেমনই আনাজ চাষ সহ অন্য ফসলের উপরে প্রভাব পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কৃষি দফতর ফসল বাঁচাতে কৃষকদের যেমন পরামর্শ দিয়েছে, তেমনই পাট কী ভাবে জাঁক দিতে হবে সেই পথও বাতলে দিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজ্যের কৃষি দফতর থেকে জেলায় জেলায় এ বিষয়ে পরামর্শ পাঠানো হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৫০ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ছিল। তবে জুলাইতে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি ৫০ শতাংশ থেকে নেমে ৩৮ শতাংশে এসেছে। মুর্শিদাবাদের উপকৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, ‘‘রাজ্য থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়ার নির্দেশিকা এসেছে। আমরা বিভিন্ন ব্লকে সেই পরামর্শ পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

কৃষি আধিকারিকেরা জানান, ধানের বীজতলা বাঁচানোর জন্য সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। বীজতলায় পুষ্টিজনিত অভাবের লক্ষণ দেখা গেলে ইউরিয়া বা ডিএপি স্প্রে করতে হবে। রোগ ও পোকার আক্রমণ দেখা দিলে কীটনাশক হিসেবে ক্লোরোপাইরিফস অথবা অ্যাসিফেট এবং রোগনাশক যথা মেটাল্যাকিসল ও ম্যানকোজেব প্রয়োগ করা যেতে পারে। বেশি বয়সি চারা দেরিতে লাগালে সারি থেকে সারির এবং গুচ্ছ থেকে গুচ্ছর দূরত্ব ৬ ইঞ্চি রাখতে হবে এবং প্রতি গুচ্ছতে বেশি সংখ্যায় (৫-৬ টি) চারা রোপণ করতে হবে। আগাছা দমনের রাসায়নিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

Advertisement

তবে এখনও যাঁরা ধানের বীজতলা করেননি তাঁদেরও নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জলসেচের সুবিধা আছে এমন জায়গায় স্বল্প মেয়াদি জাতের ধানের শুকনো বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে। যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে সেচের জল পাওয়া যাবে সেখানে সিক্ত বীজতলা তৈরি করা যেতে পারে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে অগস্টের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। আপৎকালীন পরিকল্পনা হিসাবে এক সঙ্গে বীজ না ফেলে ৫-৭ দিন অন্তর দু’দফায় বীজতলায় বীজ ফেলা যেতে পারে। বীজতলাতে সুপারিশকৃত জৈব ও অজৈব সার মূল সার হিসাবে প্রয়োগ করা দরকার। জমির চারপাশে আল দিয়ে রাখতে হবে, যাতে বৃষ্টি হলেই জমিতে জল ধারণ ও জল সংরক্ষণ করা যায়। সেচের সুযোগ থাকলে উঁচু ও মাঝারি নীচু জমিতে ‘শ্রী’ এবং ‘ড্রাম সিডিং’ পদ্ধতিতে ধান চাষ করা যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement