দুর্নীতির নালিশ, বহিষ্কৃত জোনাল সদস্য

দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করল সিপিএম নেতৃত্ব। ফরাক্কার নয়নসুখ পঞ্চায়েতের ওই প্রধান শুভ্রা পাল ফরাক্কা জোনাল কমিটিরও সদস্য। রবিবার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৫ ০২:৫৫
Share:

দুর্নীতির অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধানকে দল থেকে বহিষ্কার করল সিপিএম নেতৃত্ব। ফরাক্কার নয়নসুখ পঞ্চায়েতের ওই প্রধান শুভ্রা পাল ফরাক্কা জোনাল কমিটিরও সদস্য। রবিবার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। দলীয় তদন্তে সত্যতা যাচায়ের পরে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, পঞ্চায়েত আইনে যেহেতু আড়াই বছরের আগে অনাস্থা আনা যায় না, তাই প্রধান পদ থেকে আপাতত তাঁকে সরানো হচ্ছে না।

Advertisement

এমন ঘটনা জানাজানি হতে এ দিন শুভ্রাদেবী পাল্টা তোপ দেগেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সফিকুল আলম, জোনাল সদস্য ইসফাক হোসেনের বিরুদ্ধে। আগে শুভ্রা ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, বহু দিন ধরেই নয়নসুখ এলাকার এই দুই নেতা তাঁকে স্বাধীন ভাবে পঞ্চায়েতের কাজ চালাতে দিচ্ছেন না। মহিলা বলে তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি।

এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ওরা আমাকে সামনে রেখে দুর্নীতি করতে চাইছিল। কোনও ভাবেই বিষয়টিকে পাত্তা দিইনি।’’ সেই দুর্নীতির অভিযোগ জেলা নেতাদের জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। শুভ্রার কথায়, গত ২৮ মে দলীয় সভায় এ নিয়ে নেতাদের মত জানতে চাই। তাঁরা সদুত্তর দিতে পারেননি। তাঁর দাবি, ‘‘দলে আর থাকব না। সে কথা সে দিনই জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৭ সদস্যের নয়নসুখ পঞ্চায়েতে ৯টি আসন পায় সিপিএম। কংগ্রেস ৫টি, তৃণমূল ২টি ও একটি আসনে নির্দল প্রার্থী জয়ী হন। প্রধান হন শুভ্রা। পরে দলের কোন্দল মাথা চাড়া দেওয়ায় তিন সিপিএম সদস্য কংগ্রেসে যোগ দেন। সিপিএমের আশা, শুভ্রাদেবীকে বহিষ্কার করায় কংগ্রেসে যোগ দেওয়া তিন সদস্যই দলে ফিরবেন।

জোনাল সদস্যের দুর্নীতির অভিযোগের জবাবে কী বলছেন সিপিএম নেতৃত্ব? সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবুল হাসনাত খান পাল্টা দুর্নীতির তত্ত্বই শুনিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘‘হোসেনপুর চর এলাকায় পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নয়ছয় হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে তদন্ত করে দেখার পরে শুভ্রাদেবীকে ফরাক্কা জোনাল কমিটি থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ মেনেই জেলা কমিটি তাঁকে বহিষ্কার করেছে।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে এমন কিছু কাজ করেছেন, যে তাঁকে আর দলে রাখা সম্ভব ছিল না। শুভ্রাদেবীর পাল্টা অভিযোগকে আবুল হাসনাত খান বানানো গল্প বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

এ বার কি অন্য দলে যোগ দেবেন? এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি শুভ্রাদেবী। তিনি বলেন, ‘‘বহিষ্কারের কথা নেতাদের মুখে জেনেছি। আগে সেই চিঠি পাই, তারপরে সিদ্ধান্ত নেব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement