আগামী রবিবার সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশ।
সন্ত্রাস হোক বা অন্য যা-ই সমস্যা থাক, প্রতি বুথ থেকে কর্মীদের যেতে হবে ব্রিগেডে। তা সংখ্যায় কম হলেও। এই মেজাজেই ব্রিগেড সমাবেশের জন্য নদিয়ায় নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি ঝালিয়ে নিতে চাইছে সিপিএম।
কাল, রবিবার ব্রিগেডে নদিয়ার সব জায়গা থেকে বুথস্তরের কর্মীদের যোগ দেওয়া নিশ্চিত করতে চাইছে সিপিএম। করিমপুর থেকে হরিণঘাটা, জেলার সব জায়গায় প্রতিটি বুথে ওই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
জেলা সিপিএমের এক নেতা জানান, প্রতি বুথ থেকে যার পক্ষে যেমন সম্ভব কর্মীদের নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাঁচ-দশ জন করে হলেও নিয়ে যেতে হবে, কোনও এলাকার উপস্থিতি যেন শূন্য না হয়। কোথাও যদি সন্ত্রাসের সমস্যা থাকে, সেখান থেকেও অন্তত এক-দু’জন কর্মী যেন যান, তা দেখতে বলা হয়েছে।
রানাঘাট মহকুমার এক সিপিএম নেতার দাবি, ‘‘আমাদের এরিয়া কমিটি থেকে প্রতি বুথে পাঁচ জন করে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি বুথ থেকে গড়ে প্রায় দ্বিগুণ লোক যাবেন বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করছেন।’’
নিচুতলার কর্মীদের উৎসাহ যে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে তা-ও মানছেন সিপিএম নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে পোস্টার সাঁটানো থেকে পথসভা, সব কিছুতেই বাড়তি উদ্যমে ঝাঁপাচ্ছেন তাঁরা। জেলা কমিটির এক সদস্য বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় ভাবে যা কর্মসূচি নেওয়ার তা তো নেওয়াই হয়েছে, সেই সঙ্গে নিচুতলার কর্মীরা আগেই পথে নেমেছেন। নিজেরাই পথসভা, ট্যাবলো, পোস্টার নিয়ে প্রচারে উদ্যোগী হয়েছেন।’’
জেলা সিপিএম সূত্রের খবর, কল্যাণী, রানাঘাট মহকুমা ও কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার একাংশে যেখানে ট্রেন ধরার সুবিধা আছে সেখানে ট্রেনে এবং বাকি সব জায়গা থেকে বাসে যাবেন কর্মীরা। তেহট্ট মহকুমা এলাকা থেকে কর্মীরা মূলত বাসেই যাবেন। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র দাবি, “জেলার সমস্ত জায়গা থেকেই প্রচুর সংখ্যক কর্মী ব্রিগেডে সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছেন।’’ সম্প্রতি সাধারণ ধর্মঘটের সময়েও সিপিএমের নিচুতলার কর্মীদের প্রবল উৎসাহে পথে নামতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের ভরসাতেই আবার নতুন করে রাস্তা খুঁজছে সিপিএম।