—ফাইল চিত্র।
সোশ্যাল মিডিয়ার পথে তরুণদের কাছে পৌঁছতে চেয়েছিলেন বাম নেতারা। সেই লক্ষ্য যে অনেকাংশেই পূরণ হয়েছে, তা দেখিয়ে দিল রবিবারের ব্রিগেড। এ দিন ব্রিগেডে তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিছু দিন আগে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ঝুঁকেছেন বাম নেতৃত্ব। পলাশির চিনিকলের সামনে সম্প্রতি একটি সমাবেশের আয়োজন করে কৃষক সভা। ছিলেন কৃষক সভার সর্বভারতীয় নেতৃত্ব। সেই সমাবেশ যেমন লাইভ হয়েছে সিপিএমের নদিয়া জেলা কমিটির ফেসবুক পেজে, তেমনই প্রয়াত সিপিএম নেতা নিরুপম সেনের স্মরণসভাও দেখানো হয়েছে।
পাশাপাশি, এসএফআই কর্মীদের উপরে হামলার ঘটনায় রানাঘাটে দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য এবং পদযাত্রাও ফেসবুকে লাইভ দেখার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই।
শুধু ফেসবুক লাইভই নয়, দলের নানা কর্মসূচি এখন পোস্ট করা হচ্ছে সোশ্যাল সাইটে। দলের জেলা কমিটির একটি ফেসবুক পেজও খোলা হয়েছে। সেখানে যাবতীয় পোস্ট করার পাশাপাশি নিজেদের প্রোফাইলে সক্রিয় দলের একাধিক নেতানেত্রী। ব্রিগেড সমাবেশে যোগদানের আহ্বানও ভেসে আসছে এই পেজেই।
এমনকি খেত মজুর, পড়ুয়া, শ্রমিক থেকে শুরু করে নানা স্তরের মানুষ ব্রিগেড সমাবেশ সম্পর্কে কী বলছেন, তার ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে সেই পেজে।
বুথ স্তরে প্রচারের উপরেই আগে বেশি জোর দিয়ে এসেছে সিপিএম। কিন্তু এখন পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও জোর দেওয়া হচ্ছে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘বুনিয়াদি প্রচার অর্থাৎ পথে নেমে প্রচার তো ছিলই, সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারেও অনেকের কাছে দ্রুত পৌঁছনো গিয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম প্রভাবিত হয়েছে।’’
সিপিএম নেতৃত্বের মতে, এর ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে যেমন পৌঁছনো যাচ্ছে, তেমনই নিজেদের বার্তা দ্রুত মানুষের মধ্যে পৌঁছনো যাচ্ছে। নানা মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে নিজেদের মতামত জানাচ্ছেন। এতে মত বিনিময়ের সুযোগ থাকছে।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মারফত শুধু তাঁদের কাছেই পৌঁছনো যাচ্ছে, যাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন আছে। বাকি অংশের জন্য?
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এবং জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “বুথ স্তরে আগের মতো কর্মীরা পথে নেমে প্রচার তো চালাচ্ছেনই। সেটা বাদ দেওয়া যাবে না। সঙ্গে নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েও প্রচারে জোর দেওয়া হচ্ছে।’’
পথে নেমে প্রচারে অনেক সময় বাধা আসার আশঙ্কা থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে সেই সমস্যা নেই। তাই কি এই পথে? বিজেপিও সক্রিয় এই সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তাকে টক্কর দেওয়াও কি লক্ষ্য?
সুমিত বলেন, “পথে নেমে প্রচার হচ্ছে আমাদের বুনিয়াদি প্রচার। এটা সহায়ক। এই প্ল্যাটফর্মকেও আমরা ব্যবহার করতে চাইছি।’’