মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য
মাস দুয়েকের লড়াইয়ের পরে হেরে গেলেন সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য (৭২)। গত প্রায় দু’মাস থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়েছিল। হার মানে কিডনিও। চিকিৎসা চলছিল কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে। রবিবার রাতে সেখানেই মারা যান তিনি। মৃগাঙ্কবাবু রেখে গেলেন স্ত্রী তিন মেয়ে ও জামাতাদের।
জঙ্গিপুর সাহেববাজারপল্লির বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মৃগাঙ্কবাবু টানা ২২ বছর জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান ছিলেন। পরে দলের সিদ্ধান্ত মতোই ২০১০ সালে তাঁকে পুরপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাম আমলে জেলা পরিষদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে তিনিই ভাগীরথীর তীরে সুভাষদ্বীপ গড়ে তোলেন। সিপিএমের সদস্যপদ পান ১৯৬৮ সালে। সেই থেকেই কখনও দলের কৃষক সভা, কখনও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। ছিলেন সিটুর রাজ্য কাউন্সিলেরও সদস্য। গত আট বছর থেকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক ও রাজ্য কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছিলেন তিনি। ইদানিং অসুস্থতার কারণে তাঁর জায়গায় দলের কাজকর্ম দেখছিলেন বর্ষীয়ান নেতা নৃপেণ চৌধুরী। ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলের প্রার্থী হন মৃগাঙ্ক। নিজে ৩.৭৮ লক্ষ ভোট পেলেও হেরে যান। কিন্তু ভোটে হারলেও জঙ্গিপুরের মানুষের মন থেকে তিনি হারিয়ে যাননি।
তৃণমূল জমানাতেও জঙ্গিপুর পুরসভা বামেদের দখলেই ছিল। তবে দলবদলের জেরে পুরসভা তৃণমূলের হাতে চলে যাওয়ায় তিনি আঘাত পেয়েছিলেন চরম।