Coronavirus

সাত দিন লকডাউন চাইছে অর্জুনপুর

ইদের পর ২ অগস্ট থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত টানা সাত দিনের লকডাউন চলবে অর্জুনপুর

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ফরাক্কা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২০ ০১:১৭
Share:

লকডাউন নিয়ে সভা। নিজস্ব

বেপরোয়া অর্জুনপুরকে নিয়ে লকডাউনে বারবার প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ পথে নেমেও শাসনে আনতে পারেনি অর্জুনপুরকে। কিন্তু গত সপ্তাহে এক স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু যেন রাতারাতি বদলে দিল অর্জুনপুরকে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েতে সভা করে গ্রামবাসী, স্থানীয় ব্যবসায়ী, স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্তা সকলে মিলেই একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলেন সাত দিন ধরে টানা লকডাউন পালনের। মাস্ক ছাড়া রাস্তায় না বেরনোর। সেই সিদ্ধান্ত মেনেই ইদের পর ২ অগস্ট থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত টানা সাত দিনের লকডাউন চলবে অর্জুনপুর

পঞ্চায়েত জুড়ে।

Advertisement

সর্বাত্মক লকডাউন পালনের অর্জুনপুরের এই সিদ্ধান্তকে প্রশংসা করে ফরাক্কা থানার আইসি জয়দেব ঘোষ বলছেন, “এত দিন অর্জুনপুর ছিল পুলিশের কাছে লকডাউনে মাথা ব্যথার কারণ। আজ সেই অর্জুনপুর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে লকডাউন চাইছে। দোকান বন্ধের জন্য আর পুলিশের ছুটোছুটি থাকবে না। মাস্ক না পরার জন্য আর কারও সাইকেল আটকাতে হবে না। তাঁরা যে কিছুটা হলেও সচেতন হয়েছেন এটা শুভ লক্ষণ।”

স্থানীয় একটি কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজার মোশারোফ হোসেন বলছেন, “সভায় ছিলাম। অর্জুনপুর এলাকার মধ্যে একটা বড় বাজার। তাই সেখানে পুরোপুরি লকডাউন পালন নিয়ে সমস্যা হয়েছে বার বার। এই সিদ্ধান্তে যে ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে এসেছেন, তা আগামী দিনের পক্ষে ভাল। তাই সমবায় ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে আমরা ঠিক করেছি এলাকার সকলকে মাস্কমুখো করতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে ২ হাজার মাস্ক তৈরি করে সকলের হাতে তুলে দেব।”

প্রধান ওহাহিদা খাতুন বলছেন, “এই করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন খুব জরুরি। অর্জুনপুর এটা বুঝতে পেরেছে এক গ্রামীণ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে। আগে বুঝলে হয়ত এই মৃত্যুটাও এড়ানো যেত। যাই হোক, সর্বসম্মত ভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে অর্জুনপুর।”

ফরাক্কার বিডিও রাজর্ষি চক্রবর্তী বলছেন, “সকলেই লকডাউন চেয়েছে। ২ থেকে ৮ অগস্ট পর্যন্ত গোটা অর্জুনপুরে তা জারি থাকবে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement