প্রতীকী ছবি।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হলেন ২০০ জন। দিন কয়েক ধরেই দিনে গড় সংক্রমণ দেড়শোর গণ্ডি ছাড়াচ্ছিল। এ দিন তা দু’শো ছুঁলো।
পুজোর সময় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আগে থেকেই করা হচ্ছিল। পুজো যত এগিয়ে আসছে সেই আশঙ্কাই সত্যি হচ্ছে বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
উৎসবের মরসুমের মুখে জেলার নানা প্রান্তে পুজোর বাজারের ভিড় বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণও। কৃষ্ণনগর, শান্তিপুরের মতো শহরে সম্প্রতি সংক্রমণের হার বেড়েছে অনেকটাই। শান্তিপুরের আবগারি দফতরের তিন কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তিন কর্মীর কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল। এরপর তাঁদের লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। দফতরের অন্য কর্মীদের নমুনা পরীক্ষা
করানো হচ্ছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার তাহেরপুর, কল্যাণী, চাকদহ, রানাঘাটের মতো বিভিন্ন থানা এলাকায় পুজোয় মানুষের ভিড় হয় প্রতি বছরই। এই বছর তা নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ও প্রশাসনের চিন্তার মধ্যে রয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলার তরফে পুজোর আগেই সরকারি বিধি-নিষেধ সংবলিত নানা ফ্লেক্স এবং লিফলেট বিলির উদ্যোগ শুরু হয়েছে। শনিবার রানাঘাট পুলিশ জেলার তরফে রানাঘাট, কল্যাণী, তাহেরপুর থানা এলাকার দুর্গাপুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে একটি প্যান্ডেল লোকেটর মোবাইল অ্যাপেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। রানাঘাট পুলিশ জেলা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় পুজো মণ্ডপে ভিড় বেশি হয় সেখানে এবং অন্যত্র কড়া নজরদারি রাখা হবে। পুজো কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে পুলিশ কর্মীরা সমন্বয় রেখে সেখানে কাজ করবেন। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধানের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করার পাশাপাশি সরকারি বিধি মানার জন্য বলা হবে।
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভি এস আর অনন্তনাগ বলেন, “পুজো কমিটিগুলিকে নানা বিধি-নিষেধ সংবলিত ফ্লেক্স, লিফলেট দেওয়া হচ্ছে, তা বিলি করার জন্য। উদ্যোক্তাদেরও বলা হয়েছে বিধি মানার বিষয়ে খেয়াল রাখতে। পুলিশ কর্মীরাও সজাগ দৃষ্টি রাখবেন এবং ব্যবস্থা নেবেন।”