Coronavirus in West Bengal

আক্রান্ত বিধায়ক, করোনা জওয়ান আর পুলিশেরও

শুধু চাকদহ শহরেই দেড়শো ছাড়িয়েছে। কল্যাণীতে সেই সংখ্যাটা একশোর কাছাকাছি।  

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

চাপড়া শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০০:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

তৃণমূলের এক বিধায়ক, চাপড়া থানার চার পুলিশকর্মী এবং চাপড়া সীমান্তে পাঁচ বিএসএফ জওয়ান। রানাঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক। নবদ্বীপ পুরসভার গাড়ি চালক এবং হাসপাতালের এক নার্স। তেহট্ট থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার।

Advertisement

নদিয়ায় করোনা সংক্রমিতের তালিকায় শনিবার যুক্ত হলেন এঁরাও। এক দিনে নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৭২ জনের। তিন দিন আগেই জেলায় সংক্রমিতের মোট সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। শনিবার সকাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তা বারোশের গণ্ডীও টপকে গিয়েছে। শুধু চাকদহ শহরেই দেড়শো ছাড়িয়েছে। কল্যাণীতে সেই সংখ্যাটা একশোর কাছাকাছি।

পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চাপড়া থানার তিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং এক কনস্টেবল সংক্রমিত হয়েছেন। এর আগেও ওই থানার এক সাব-ইন্সপেক্টর এবং এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর সংক্রমিত হয়েছিলেন। যাঁরা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের লালারসের নমুনা নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

তেহট্ট ১ ব্লকে নতুন করে দু’জনের সংক্রমিত হওয়ার খবর মিলেছে। এঁদের এক জন শ্যামনগরের বাসিন্দা, যিনি সম্প্রতি হায়দরাবাদ থেকে ফিরেছিলেন। অন্য জন তেহট্ট থানার এক সিভিক কর্মী। তিনি খাঞ্জিপুরের বাসিন্দা, নাজিরপুর তদন্তকেন্দ্রে কাজ করতেন। কিছু দিন ধরে জ্বর আসায় শুক্রবার তাঁর র‌্যাপিড টেস্ট করা হয়েছিল। করোনা ধরা পড়ার পরে তাঁকে কৃষ্ণনগরে গ্লোকাল কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বাড়ির এলাকা খাঞ্জিপুরের বটতলা পাড়া ‘কনটেনমেন্ট জ়োন’ হয়েছে।

ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ দুই আগে ওই সিভিক কর্মী চাপড়ায় গিয়েছিলেন। তাঁর সংস্পর্শে আসায় বাড়ির ছ’জন এবং সিভিক ও পুলিশকর্মী মিলিয়ে মোট ২৭ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। এঁদের প্রত্যেককেই নিজের বাড়িতে নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমার এক তৃণমূল বিধায়কেরও সংক্রমিত হওয়ার খবর এসে পৌঁছেছে জেলায়। যদিও তিনি বর্তমানে সপরিবার কলকাতায় রয়েছেন। পরিবার ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলায় থাকাকালীন গত ২২ জুলাই তাঁর জ্বর আসে। এর পরে জেলাতেই তাঁর নমুনা নেওয়া হয়। সেই সময়ে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছিল। দিন কয়েক পরে জ্বর সেরে যায়। এর কয়েক দিন পরে তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। গত ৫ অগস্ট তিনি কলকাতায় গিয়ে চলে যান। সেখানেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানে ফের তাঁর নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শুক্রবার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। বিধায়কের স্ত্রীরও নমুনা নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement