প্রতীকী ছবি।
আক্রান্ত বাড়লেও কিছুতেই চাকদহ শহরের মানুষকে করোনার ব্যাপারে সতর্ক করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ। এখানে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ পেরিয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন সাত জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ জন। তার পরেও এখনও অনেকের মাস্ক পরতে প্রবল অনীহা। সামাজিক দূরত্বও অনেকে বজায় রাখছেন না। পুরসভা সূত্রের খবর, আপাতত আট জন কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। শহরে ৬০টি আইসোলেশন হোম তৈরি হয়েছে। রোগ মোকাবিলায় বিশেষ সাফল্যের নজিরও রয়েছে। যেমন, হোম আইসোলেশনে থেকে করোনামুক্ত হয়েছেন ১০৬ বছরের এক বৃদ্ধ।
পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস বলেন, “সংক্রমণ এড়াতে আক্রান্তদের বাড়িতে হলুদ রঙের প্যাকেট দেওয়া হচ্ছে। ওই প্যাকেটের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। প্যাকেটে রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকেরা মাস্ক, গ্লাভস, ওষুধের প্যাকেট, শিশুদের ব্যবহারের জিনিস-সহ বিভিন্ন ব্যবহৃত সামগ্রী রাখছেন। চোদ্দো দিন পড়ে পুর স্বাস্থ্য কর্মীরা তা সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। তার পর চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে তা বিশেষ প্রক্রিয়ায় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। সুপ্রকাশবাবুর কথায়, “এক সময় জোরজবরদস্তি মানুষকে করোনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসতে হয়েছে। এখন তাঁরা স্বেচ্ছায় আসছেন। এটা ভাল লক্ষণ। তবে মাস্ক ব্যবহারের ব্যাপারে এখনও অনেকের অনীহা রয়েছে। মাস্ক ব্যবহার করে অনেকে যেখানে-সেখানে ফেলে দিচ্ছেন। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।” চাকদহ করোনা ভলান্টিয়ারদের পক্ষে সৌমিত্র ভট্টাচার্য বলেন, “অনেকেই করোনাকে এখন আর গুরুত্ব দিতে চাইছেন না। এটা ঠিক নয়। আমরা কাউকে আতঙ্কিত হতে বলছি না, কিন্তু সবাইকে সতর্ক থাকতে বলছি।”