Coronavirus

সংক্রমণের ভয়ে বন্ধ ধান বিক্রি

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূলে প্রায় সারে তিন লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

Advertisement

কৌশিক সাহা

কান্দি শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০৩:১৬
Share:

প্রতীকী ছবি

সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য কিসান মান্ডিতে শিবির করে আছেন খাদ্য দফতরের কর্মীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্কে চাষিরা ধান নিয়ে যাচ্ছেন না সেখানে। একই ভাবে সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য চালকলগুলির কর্মীরাও যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, ধান কেনাবেচা এখন অলিখিত ভাবে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।

Advertisement

খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূলে প্রায় সারে তিন লক্ষ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। তার জন্য ৩০টি চালকল কর্তৃপক্ষ সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনছিলেন। মার্চ মাস পর্যন্ত সরকারি ভাবে ধান কেনা হয়েছে প্রায় ২ লক্ষ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। এপ্রিল মাসে ধান মিলেছে মাত্র ১২ হাজার মেট্রিক টন। এখন ১ লক্ষ ৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। কিন্তু এখন কোনও চাষি আর ধান বিক্রি করছেন না। কিসান মান্ডিতে ধান বেচাকেনা করতে কখনওই সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে না। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক কাটার পরেই ধান কিসান মান্ডিতে গিয়ে সরকারের কাছে ধান বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন চাষিরা।

যেমন কাঞ্চন ঘোষ বলেন, “সরকারকে প্রতি বছর ধান দিয়ে থাকি, সময়ে টাকাও পেয়ে যাই। এ বারও একবার ১৫ কুইন্টাল ধান দিতে পেরেছি। টাকাও সঙ্গে সঙ্গে পেয়েছি। কোনও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু আমার কাকার লকডাউনের কারণে ধান দিতে যাওয়ার সাহস করতে পারেননি।”

Advertisement

এখন বোরো ধান খেত থেকে উঠতে শুরু করেছে। ফলে চাষিরা এখন খেতে থেকে ধান ঘরে তুলতেই ব্যস্ত। কারণ খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে প্রায় দিন ঝড় বৃষ্টিতে পাকা ধানে মই দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। চাষি মহেন্দ্র দাস বলেন, “দাম যতই হোক না, আগে বাঁচতে হবে। পড়ে টাকা। মান্ডিতে ধান দিয়ে যাওয়া মানেই সংক্রমণের আশঙ্কা। তাই ধান দিতে যাচ্ছি না।” মুর্শিদাবাদ জেলা চালকল মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জয়কুমার মারোঠী কার্যকারী বলেন, “লকডাউন উঠে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন চাষিরা, তারপরেই ধান বিক্রি করবেন। আমাদের কর্মীরাও কিসান মান্ডিতে ধান কিনতে যেতে ভয় পাচ্ছেন, কারণ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কোনও ভাবেই ভারি কাজ করা সম্ভব নয়। তবে প্রশাসনের কাছে কেউ ধান দিলে আমরা সেই ধান নিয়ে নেব।”

সরকারি সহায়ক মূল্যে এক কুইন্টাল ধানের দাম ১৮১৫ টাকা আর আড়তের এক কুইন্টাল ধানের দাম ১৪৭০ টাকা। চাষিরা কোথাও ধান দিচ্ছেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement