COVID 19

গ্রামীণ ডাক্তার আক্রান্ত, ১০০ আইসোলেশনে

এঁদের আবেদনের ভিত্তিতে এখন এঁদের নামের সঙ্গে বিশেষণ হিসেবে ‘হাতুড়ে’ বা ‘কোয়াক’ শব্দটি সরকার ব্যবহার করে না। তেহট্ট ১ ব্লকের বেতাই-এ এমনই এক গ্রামীণ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তেহট্ট শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:২৮
Share:

নিজস্ব চিত্র

অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু গ্রামীণ চিকিৎসক করোনা-আক্রান্ত হচ্ছেন। সরকার এঁদের চিকিৎসক হিসেবে স্বীকার না-করলেও গ্রামীণ চিকিৎসা পরিষেবা যে বহুলাংশে এঁদের উপর নির্ভরশীল তা স্বাস্থ্যকর্তারা মানেন। এবং এঁদের আবেদনের ভিত্তিতে এখন এঁদের নামের সঙ্গে বিশেষণ হিসেবে ‘হাতুড়ে’ বা ‘কোয়াক’ শব্দটি সরকার ব্যবহার করে না। তেহট্ট ১ ব্লকের বেতাই-এ এমনই এক গ্রামীণ চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

তেষট্টি বছরের ওই প্রবীণ গ্রামীণ চিকিৎসককে কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ১০০ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের প্রত্যেকের লালারসে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ওই ১০০ জন আইসোলেশনে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বেতাই দক্ষিণ জিৎপুরের ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শরীর বেশ কিছু দিন ধরেই ভাল ছিল স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে তিনি ও তাঁর এক আত্মীয় করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেন।

রবিবার তাঁর নমুনা সংগ্রহের কথা ছিল। নমুনা সংগ্রহ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু রবিবার সকালে তাঁরা তেহট্ট ছোট মোড়ের এক ফার্মেসিতে অন্য এক চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। তার পরে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করান। সেখানে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এই ঘটনার পরেই তেহট্টের ওই ফার্মেসি বন্ধ করে জীবাণুমুক্ত করা হয়। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাঁর সংস্পর্শে আসা ১০০ জনকে চিহ্নিত করে তেহট্ট কর্মতীর্থ আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত বাড়িতেই থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, ‘‘কিছুদিন আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন জেলা পরিষদের কর্মধ্যক্ষ বেতাই নিবাসী তৃণমূলের এক নেতা। তিনি মাঝেমধ্যেই বেতাই পেট্রোল পাম্পে আসতেন। সেখানে ওই গ্রামীণ চিকিৎসকও যাতায়াত করতেন। সেখান থেকে কোনও ভাবে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।’’

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement