হাল ফিরেছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের—নিজস্ব চিত্র
মাস কয়েক আগেও নিয়মিত চিকিৎসকের দেখা মিলত না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। কিন্তু কনোরাভাইরাসের আবহে রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে ছবিটা। গ্রামবাসীদের দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসকের আনাগোনা বেড়েছে তো বটেই, গ্রামবাসীরা যাতে অযথা আতঙ্কে না ভোগেন, সে ব্যাপারেও সজাগ দৃষ্টি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের। ভরতপুর-২ ব্লকের শিমুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।
বাসিন্দাদের দাবি, মাস কয়েক আগেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিসক আসতেন অনিয়মিত। কোন দিন চিকিৎসক আসবেন আর কবে আসবেন না, তা আগাম জানতে না পারায় ভোগান্তিও হত রোগীদের। তবে গত প্রায় দেড় মাস সপ্তাহে তিন দিন করে চিকিৎসক আসছেন। আর বাকি দিনগুলিতে হাসপাতাল সামলাচ্ছেন একজন ফার্মাসিস্ট। তিনিই রোগীদের সমস্যা শুনে ওষুধ দেন। তাঁকে সাহায্য করতে রয়েছেন একজন নার্স ও চতুর্থ শ্রেণির একজন কর্মী। পরিষেবার পাশাপাশি হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাও আগের চেয়ে বেড়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। তাঁরা জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তিকে অস্থায়ী সাফাইকর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। তার ফলেই হাসপাতাল চত্বর সাফসুতরো থাকছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে ওই হাসপাতাল ভবন সংস্কারের অভাবে প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থা হয়েছিল। আগাছায় ঢেকে গিয়েছিল চত্বর। বাসিন্দারা এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করলে কাজ হয়। ব্লক স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতাল ভবন সংস্কারের উদ্যোগী হয়। সাজিয়ে তোলা হয় হাসপাতাল চত্বর। শিমুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুলিয়া, এঁড়েরা, দত্তবরুটিয়া, শিরপুর, পুনাশি, সোনারুন্দির মতো প্রায় দশটি গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভিড় করছেন। গ্রামবাসীদের দাবি, চিকিসার জন্য এতদিন তাঁরা শিমুলিয়ার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি সালার গ্রামীণ হাসপাতালের ওপরেই নির্ভর করে এসেছেন। তবে লকডাউনের সময় ১৫ কিমি দূরে সালারে যাওয়া ঝক্কির। তাঁদের ভরসা শিমুলিয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রই। স্থানীয় বাসিন্দা পার্থ নন্দী, মিলন হাজরা, কেষ্ট সাহারা বলেন, “চিকিৎসক নিয়মিত আসছেন। তবে সপ্তাহে সাত দিনই এলে ভাল হত।” শিমুলিয়া অঞ্চলের প্রধান তৃণমূলের সাহিদা বেগম বলেন, “যাতে চিকিৎসক রোজ আসেন, সেই দাবি জানাব।’’ ভরতপুর-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সত্যজিৎ সরকার বলেন, “জ্বর কিংবা সর্দিকাশি হলে আতঙ্কিত না হয়ে হাসপাতালে আসুন।’’