নেতারা বুঝি সাধু, প্রশ্ন উঠল সভাতেই

দলের কর্মসূচি মেনে ওঁরা সকলেই এসেছিলেন বটে, তবে সেখানেই উঠে গেল প্রশ্নটা— ‘আমাদের সকলেই সাধুপুরুষ বুঝি!’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share:

দলের কর্মসূচি মেনে ওঁরা সকলেই এসেছিলেন বটে, তবে সেখানেই উঠে গেল প্রশ্নটা— ‘আমাদের সকলেই সাধুপুরুষ বুঝি!’

Advertisement

ঘন ঘন দিল্লি পাড়ি দিয়ে কেন্দ্রের বিমূদ্রাকরণ নীতির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন গড়ে তুলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের নিচুতলাতেও বার্তা দিয়েছেন— গাঁ-গঞ্জে তৃণমূল স্তরেও যেন সে আন্দোলনের আঁচ পড়ে। সে নির্দেশ মেনেই বুধবার নদিয়ায় দলের জেলা বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল নোট বাতিল বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও জোরালো করার ডাক।

আর, সেখানে কান পেতেই শোনা গিয়েছে দলীয় কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ। যাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন, দলের ‘নেতাদের’ অনেকের দিকে। এক তাবড় জেলা নেতার কথায়, ‘‘ক্ষমতায় আসার আগেও এই সব নেতাদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা ছিল। আর, এখন দেখুন, বাড়ি-গাড়ি হাঁকিয়ে কোথায় পৌঁছে গিয়েছেন। এই বোলবোলাও কালো টাকায় হয়নি বলছেন!’’

Advertisement

এ দিন জেলা পরিষদের ওই সভায় দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদের সদস্য, পুরসভার প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতি ও সংগঠনের ব্লক সভাপতিরা হাজির ছিলেন। সেখানে নোট বাতিলের ফলে সাধারণ মানুষের কি অসুবিধা হচ্ছে, কারা সবচাইতে বেশি অসুবিধার মধ্যে পড়ছেন, তা বিভিন্ন নেতৃত্বের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে মানুষের তালিকা তৈরি করে জেলা নেতৃত্বের কাছে জমা দিতেও বলা হয়।

প্রকাশ্যে তেমন সরব না হলেও এক বিধায়কের কথায়, ‘‘আমাদের দলেরই বুঝি সকলেই সাধুপুরুষ, রোজভ্যালির টাকা যেন কেউ নেয়নি। তাদের মধ্যে শুভবুদ্ধির উদয় হলে ভাল।’’ এক পুরপ্রধানও বলছেন, ‘‘আমরাও চাই কালো টাকা উদ্ধার হোক। চোরগুলো সব ধরা পড়ুক। তা সে আমাদের দলের হলেও।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement