সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
কান্দির আনাচে-কানাচে দিনকয়েক ধরে একটি রাজনৈতিক পোস্টার শহর জুড়ে কিঞ্চিৎ হেলদোল ফেলেছে। সহজ সরল ভাষায় সেই পোস্টারের বক্তব্য 'আমরা দাদার অনুগামী'। সঙ্গে স্মিত হাসির পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঢাউস ছবি। কিন্ত তাঁর সঙ্গে কারা, কৌতূহলের শুরু এখান থেকেই।
বিরোধীদের দাবি তৃণমূলের পাট চুকিয়ে দিল্লির দিকে পা বাড়িয়ে আছেন শুভেন্দু অধিকারী। যাঁরা তাঁর অনুগামী তাঁরাই যারা জেলা থেকে শুভেন্দু- বিদায়ের পরে হালে পানি পাচ্ছেন না। তাঁরাও এখন দাদার মতিগতি বুঝে দলবদলে পা বাড়িয়ে রেখেছেন।
তবে এই কৌতূহলী আবহের মধ্যেই শনিবার শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন যে এসবই অপপ্রচার ‘ছোট লোকদের কাজ’। এদিন নন্দীগ্রাম ও মেদিনীপুরে বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি জানান, এই সব অপপ্রচারের উত্তর তিনি দেবেন না। তবে তৃণমূলের অন্দরে চাপা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছেই। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকবেন কি-না, তা নিয়ে কান্দির যত না আগ্রহ তার চেয়ে অনেক বেশি কৌতূহল শুভেন্দুর ওই অনুগামী 'আমরা'দের নিয়ে।
এ ব্যাপারে একদা শুভেন্দুর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে পাড়ি দেওয়া কান্দির বর্তমান পুর প্রশাসক অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘যে বা যারা ওই পোস্টার লাগিয়েছেন, এক দিক দিয়ে তারা তৃণমূলের সংগঠনই মজবুত করছে। কারণ শুভেন্দুদা তৃণমূলেই আছেন এবং থাকবেন।’’
তবে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পোস্টারের পিছনে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেই কান্দির এক তাবড় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ। বছর কয়েক আগে শুভেন্দুর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন ওই নেতা। তবে দলে এখন তাঁর অবস্থা বেশ টলমল। কান্দির এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘হালে পানি না পেয়ে ওই নেতা এখন শুভেন্দুদা’র পাঞ্জাবির খুঁট ধরে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন।’’