প্রতীকী ছবি
ব্রামফ্রন্ট নয়, পুরভোটে সিপিএমের সঙ্গে আলাদা করে আসন রফা করতে চায় কংগ্রেস। কান্দি পুরভোটে আসন রফা নিয়ে বাম-কংগ্রেস বেশ কয়েক বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সমঝোতা শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি। তারই সূত্র ধরে কংগ্রেস জানিয়ে দিল, পুরভোটে বামফ্রন্টগত ভাবে আসন রফার রাস্তায় হাঁটবে না কংগ্রেস। বামফ্রন্টের মধ্যে শুধু সিপিএমের সঙ্গেই আসন রফা করে ভোটে লড়াই করতে চায় তারা। কংগ্রেসের অন্দরের খবর, হাইকম্যান্ডদের নির্দেশেই কান্দির কংগ্রেস নেতৃত্ব ওই পথে হাঁটছেন। যদিও কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের দাবি— ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন রফা করে জোটবদ্ধ ভাবে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাম-কংগ্রেস।
সেই মতো প্রার্থী দিয়ে প্রচার করেছিল উভয় দলই। কিন্তু বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আরএসপি ইদ মহম্মদকে প্রার্থী করা হয়েছিল। বামফ্রন্টগত ভাবে সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও আরএসপি জোর করে প্রার্তী দেওয়ায় এ বার তারা সিপিএম ছাড়া অন্য কোনও বাম শরিকের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে চায় না। তাঁদের দাবি, একই ভাবে কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনেও কংগ্রেস প্রার্থী শফিউল আলম খানের বিরুদ্ধে বামফ্রন্টের সিপিআই দেবজ্যোতি রায়কে প্রার্থী করে। তাই পুরভোটে কোন ভাবেই বামফ্রন্টগত ভাবে আসন রফা করে ভোটে লড়াই কংগ্রেস করবে না।
কান্দি কংগ্রেস কমিটি বৈঠক করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে দাবি করে কান্দি মহকুমা কংগ্রেসের সভাপতি তথা কান্দির বিধায়ক শফিউল আলম খান বলেন, “সিপিএম সব সময় কংগ্রেসের সঙ্গে সম্মান দিয়ে আসন রফা করে। কিন্তু বামফ্রন্টের অন্য শরিক দলগুলি সেই সম্মান রাখতে জানে না। তাই আমরা সিপিএমের সঙ্গে আসন রফা করা হবে, কিন্তু বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন রফা আমরা করব না। সেটা সিপিএম নেতৃত্বদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
যদিও আসন রফা নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্ব এমন কোন কিছু জানিয়েছে বলে মানতে চায়নি বামপ্রন্ট। সিপিএমের কান্দি এরিয়া কমিটির সম্পাদক স্বরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আসন নিয়ে কংগ্রেসের আলোচনা চলছে। বামফ্রন্টের অনান্য শরিকদের বাদ দিয়ে পুরভোটে আসন রফা করাও সম্ভব নয়। তবে কংগ্রেস এখনও আমাদের কোন কিছুই জানায়নি। ওই সিদ্ধান্ত ওঁদের দলীয় সিদ্ধান্ত হতে পারে। আমাদের জানানো হয়নি।